এই মুহূর্তে জেলা

জাতীয় স্তরের সাঁতারে চারটি পদক জয় চন্দননগরের শাশ্বতর।


হুগলি, ৬ সেপ্টেম্বর:- উপযুক্ত পরিকঠামো ছাড়াই লড়াই চালিয়ে জাতীয় স্তরে একটি সোনা ও তিনটি রূপোর পদক জয় হুগলির ছেলের।আসল বিষয়টি হচ্ছে উপযুক্ত পরিকাঠামো আর সেটি এই বাংলায় এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নেই বললেই চলে। খেলাধুলার বিভিন্ন বিভাগে বিশেষ করে জেলাস্তরে পরিকাটামর অভাবে অনেক তরুণ স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবায়িত করতে পারে না। শাশ্বত সেও কুড়ি পঁচিশ কিলোমিটার দূর থেকে এসে চন্দননগর অ্যাকোয়াটিক সুইমিং ক্লাব যেটি একটি ছোট ডোবা থেকে বর্তমানে কিছু মানুষের চেষ্টায় সুইমিংপুলে রূপান্তরিত হয়েছে বেশ কয়েকবছর। সেখানেই ১৭ বছরে শাশ্বত রায় অদম্য লড়াই করে জাতীয় স্তরে চার চারটি পদক এনে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। ৪০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে পেয়েছে গোল্ড মেডেল এবং অন্য তিনটি বিভাগে রুপোর মেডেল। বাবা সুখেন্দু রায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একজন পুলিশ কর্মী আইনশৃঙ্খলার রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন আর ছেলে পড়াশোনা সঙ্গে পাখির চোখ করে লড়াই চালায় উন্নত মানের না হলেও সুইমিংপুলে।

আর সেখান থেকেই রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে সে এখন রীতিমতো উজ্জ্বল একটি নাম হয়ে উঠেছে। বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলের বাসিন্দা শাশ্বত বর্তমানে ১১ ক্লাসে পড়াশোনা করেছ। একইসঙ্গে দীর্ঘকুড়ি পঁচিশ কিলোমিটার সকাল ও বিকেল চন্দননগর সুইমিং ক্লাবে এসে নিয়মিত প্র্যাকটিস করে আজ স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বিশ্বের দরবারে পৌঁছুতে। আগামী দিনে তার লক্ষ্য এশিয়াডে অংশগ্রহণ করা আর সেই জন্যেই দরকার উন্নত মানের সুইমিংপুলের কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটি এই জেলাতে নেই তবু তার লড়াই থেমে থাকবে না এশিয়াডে যোগদান করে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করতে চায় সে। ১৯৯৮ সালে একটি পরিত্যক্ত ছোট ডোবা নিয়ে চন্দননগরের কয়েকজন মানুষ সেটিকে সুইমিংপুলে রূপান্তরিত করেছে আজ সেখানে প্রায় বারোশো ছেলে মেয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে তার মধ্যে শাশ্বত একজন। অ্যাকোয়াটি ক সুইমিং ক্লাব তাদের ক্লাবটিকে একাডেমিতে আর কয়েকদিন পরই রূপান্তরিত করতে চলেছে প্রাথমিকভাবে আবাসিক বিষয়টি রাখার সামর্থ্য হচ্ছেনা আগামী দিনে সেটিও চেষ্টা করা হবে। চন্দননগর কর্পোরেশন এলাকায় সরকারি কোনরকম আর্থিক সাহায্য ছাড়াই কিছু মানুষের প্রচেষ্টায় আগামী দিনে আরো অনেককেই বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে অদম্য লড়াই করে চলেছে। তাদের প্রেরণা এখন শাশ্বত আরো অনেক শাশ্বতকে তৈরি করার। আর হুগলি জেলার ছেলে শ্বাশত এখন বাংলার মুখ জাতীয় স্তরে উজ্জ্বল করায় খুশি হুগলি জেলার মানুষ।