এই মুহূর্তে কলকাতা

আইজলে নির্মীয়মান সেতু ভেঙে মৃত রাজ্যের ১৬ জন শ্রমিকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ২৩ আগস্ট:- মিজোরামের রাজধানী আইজলের কাছে বুধবার সকালে নির্মীয়মাণ রেল সেতু ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন রাজ্যের ২৪ শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গের মালদার রতুয়ার ১৬ জন রয়েছেন ওই তালিকায়। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাদের পরিবারকে দুলাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার জন্য রেলের কাছে দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সকালে ওই দুর্ঘটনার খবর জানার পরেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তিনি মিজোরাম প্রশাসন ও রেলের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরেই রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মিজোরামের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মুখ্যসচিব। মৃতদেহ রাজ্যে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়। পরে বিকেলে মিলনমেলায় এক অনুষ্ঠানে মিজোরামের ঘটনা নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি বারবার দুর্ঘটনা ঘটার জন্য রেলের বিরুদ্ধেও উষ্মা প্রকাশ করেন। এদিন তিনি বলেন, ‘রেলের দুর্বিষহ অবস্থা। এখন বাজেটও তুলে দিয়েছে। মিজোরামে একটা রেল ব্রিজ তৈরি করতে গিয়ে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২৫ জনই বাংলার। তাদের পরিবারের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ করেছে। তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই দেহ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকেও ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু, আমি রেলের তরফ থেকেও এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এর আগে করমণ্ডল বিপর্যয়ে ওডিশায় ৩০০ মানুষ মারা গেল। আমরা বাংলায় মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দিয়েছি। রেল দেবে না কেন!’একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’বাংলায় এই কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে কী দরকার বাইরে যাওয়ার! এখানে ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডে সরকার ৫ লাখ টাকার ঋণ নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রাণের সুরক্ষা সবের আগে। কোনও কাজ শুরুর আগে সুরক্ষার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা দরকার। যে কনট্রাক্টর মালদা থেকে শ্রমিকদের কাজে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে রাজ্য।’ মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাংয়ে একটি রেল সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। এদিন সকাল দশটা নাগাদ আচমকাই নির্মীয়মাণ সেতুর একটি অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ওই সময়ে সেতুর নিচে কাজ করছিলেন ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক। ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা এতটাই হতচকিত হয়ে পড়েন যে সরে যাওয়ার সময় পাননি। কংক্রিট আর লোহার বিমের নিচেই চাপা পড়েন।