এই মুহূর্তে জেলা

বৈদ্যবাটিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূল্যবান জিনিস চুরির কিনারা এখনো অধরা, আফসোস পরিবারের।


প্রদীপ বসু, ১৪ আগস্ট:- স্বাধীনতা দিবসে সকলের মনে পড়ে বিপ্লবীদের কথা,স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা।দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হওয়া এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের করুন দশা, কাতর আবেদন যেন তাদের কাছে গর্বের দিনটি ম্রিয়মাণ। মাষ্টারদা সূর্যসেনের সঙ্গে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে সামিল হওয়া, উড়িষ্যার বুড়িবালাম নদীর তীরে চিত্তরঞ্জন দাস, রাসবিহারী বসুর সঙ্গে সামিল হওয়া ব্যক্তি যিনি ১৯৪০ সালে ৩৫ বছর বয়সে জেলে গিয়েছিলেন। এই সাধীনতা সংগ্রামী অনাদি গোবিন্দ রায়ের তাম্রলিপি, শংসাপত্র ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রি চুরি হয়ে গেছে বৈদ্যবাটির বাড়ি থেকে।

পরিবার বলতে ছোটো ছেলে তপন কুমার রায় গত হওয়ার পর পুত্রবধূ দুর্গা রায় এক ছেলে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন চাপদানির ৫ নং ওয়ার্ড এর ১৪৭ আর বি এস রোডে।শ্বশুরের ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দুর্গা অভিযোগ করলেন এত মূল্যবান জিনিষ চুরি হয়ে গেলেও কোনো অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। এদুয়ার ওদুয়ার ঘুরে কোনো সুরাহা হয়নি।যদি উদ্ধার করা যায় চুরি যাওয়া সবকিছু তাহলে নাতি নাতনি গর্ব করে বলতে পারবে আমার দাদু স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।আর অভাবের সংসারে পুত্রবধূর দাবি ছেলের কোনো চাকরি।বছর বছর শ্বশুরের ছবিতে মালা ও ধুপ দিলেও আসল সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।তাই পুত্রবধূ দুর্গা রায়ের স্বাধীনতার সময়ে আফশোষ কোথায় যাবো কার কাছে যাব।তার কাছে শুধুমাত্র স্বান্তনা স্মৃতি বড় মধুর।