এই মুহূর্তে জেলা

খুনের চেষ্টার অভিযোগে যাবজ্জীবন চুঁচুড়া আদালতে।

হুগলি, ৯ আগস্ট:- গত ৬ই আগস্ট ২০১৫ সালে হুগলির কৃষ্ণপুরের মন্ডলপাড়া এলাকায় সন্ধ্যেবেলায় গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তৎকালীন সময়ে হুগলির পরিবেশ। ওই সময় দু’নম্বর রবীন্দ্রনগর এলাকায় প্রশান্ত দত্ত ওরফে বুবুনের সঙ্গে কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা রথিন সিংহের রাস্তায় বচসা থেকে শুরু ঘটনা সূত্রপাত। রথিন সিংহ রবীন্দ্রনগর এলাকার প্রশান্ত দত্তকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকি দেওয়ার ফলে ওই দিনে প্রশান্ত রথীদের মাকে ঘটনার বিবরণ জানাতে গেলে অতর্কিতে তাকে দেখে দুটি গুলি করে রথীন। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হন রথিনের মা ও প্রশান্ত। তড়িঘড়ি তাকে সেই সময় কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে অস্ত্রপ্রচার করার পর সে প্রানে বাঁচলেও পলাতক হয়ে যায় রথীন।

তৎকালীন সময় প্রশান্তর মা ছায়া রানী দত্ত চুঁচুড়া থানায় রতনের বিরুদ্ধে ছেলেকে গুলি মারার অভিযোগ করে। রথিন সিংহের আগেও বিভিন্ন অসামাজিক কাজ ও কার্যকলাপ নিয়েও থানায় অভিযোগ থাকায় তাকে হন্য হয়ে পুলিশ খুঁজতে শুরু করে। ২০১৬ সালে শেষের দিকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় রথীন। দীর্ঘমেয়াদী মামলা চলার পর ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় রথীনকে দোষী সাব্যস্ত করে চুঁচুড়া আদালত। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শিবশংকর ঘোষের ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টের এজলাসে তাকে দুটি পৃথক ধারায় কুড়ি হাজার টাকার ফাইন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দণ্ডিত করা হয়।এবিষয়ে বুধবার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়াটার) বিদিত রাজ বুন্দেশ সাংবাদিক বৈঠক করলেন।