এই মুহূর্তে জেলা

আমতার কুলিয়া ব্রিজ বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।


হাওড়া, ৬ আগস্ট:- আমতার কুলিয়া ব্রিজ বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের কুলিয়া ব্রিজ বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ভাটোরা ঘোড়াবেরিয়া চিৎনান গ্রামের প্রায় ৪০ হাজারের অধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ভুটভুটি নৌকাই এখন একমাত্র তাদের পারাপারের ভরসা। শনিবার সকালে সেখানকার দুরাবস্থা, সরেজমিনে পরিদর্শন করতে যান আমতা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র এবং হাওড়া জেলা কংগ্রেস কমিটির সহ-সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান। কুলিয়া ব্রিজ দেখার পর বর্তমানে কুলিয়া ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা Mackintosh Burn Ltd এর অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের সঙ্গেও তাঁরা আলোচনা করেন। আলোচনায় ওঠে ব্রিজের কাজে অর্থের যোগানের বিষয়টিও। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০১৩ সালে কুলগাছিয়ার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলিয়া ব্রিজের শিলান্যাস করেন ও হাওড়া জেলা পরিষদকে দায়িত্ব দেন এবং ৯ কোটি টাকা অনুমোদন করেন।

তারপর দীর্ঘদিন একটি টাকার কাজ না হওয়াতে ২০২১ সালে ঠিক বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাশমালি ফুটবল গ্রাউন্ডে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অজয় ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে আজকের আমতা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকান্ত পাল অর্থ দপ্তরের লিখিত অনুমোদন দেখান ২৩ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা কুলিয়া ব্রিজের জন্য। তারপর আবার কিছু না হওয়ায় ঠিক ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমতা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকান্ত পাল রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শ্রী পুলক রায় মহাশয়কে দিয়ে আবার শিলান্যাস করেন। বর্তমানে ব্রিজের কাজ অত্যন্ত ঢিলে গতিতে চলছে। আজকে আবার নির্মাণ সংস্থার অফিসাররা অর্থের যোগানের কথা বলেন। কংগ্রেসের দাবি, অবিলম্বে কুলিয়া ব্রিজের প্রকল্পে অর্থের যোগান দিতে হবে এবং দ্রুত ব্রিজের কাজ শেষ করে, দ্বীপাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্টকে লাঘব করতে হবে।