এই মুহূর্তে জেলা

রূপান্তরকামীদের দূরত্ব দূর করতে উদ্যোগী হল হুগলী গ্রামীণ পুলিশ।

হুগলি, ৪ আগস্ট:- রূপান্তরকামীরা এই সমাজেরই অংশ তারা অচ্ছুৎ নয়। ২০১৯ সালে দেশের সর্বচ্চ আদালত তাদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে।তা সত্ত্বেও সমাজে নানা ভাবে হেনস্তা হতে হয় তাদের। কখনো পুলিশের কাছেও ভালো ব্যবহার পায়না।
কলকাতা আনন্দম নামে একটি সংস্থা যারা রূপান্তরকামীদের নিয়ে কাজ করে। সেই সংগঠন হুগলি গ্রামীন পুলিশের সহযোগীতায় আজ পুলিশ রূপান্তরকামীদের দূরত্ব দূর করতে উদ্যোগী হল। দাদপুর থানা এলাকায় সংগঠনের সদস্য পুলিশ ও স্থানীয় কিছু মানুষের উপস্থিতিতে একটি শিবির হয়। আনন্দমের সচিব চিন্টু পাড়ুই বলেন, রূপান্তরকামীদের অধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদের আইন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ২০২২ সালে একটি আইন তৈরী করে।

গ্রামাঞ্চলে অনেক রূপান্তরকামী আছেন তারা হয়ত তাদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন নন। অনেক সময় বাড়িতে এলাকায় তাদের কটুক্তি হেনস্থা করা হয়।পুলিশে গেলে পুলিশ সেই ভাবে সহযোগীতা করেন না।সমাজে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষ যাতে তার অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে সেটাও দেখা দায়িত্ব পুলিশের। তাই পুলিশের নিচুতলার কর্মিরা যাতে সেই কাজটি করেন এবং থানায় গেলে রূপান্তরকামীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার এবং তাদের সহযোগীতা করেন তা নিয়ে আলোচনা হয় শিবিরে। ধনিয়াখালী, গুরাপ, দাদপুর ও পোলবা থানার পুলিশ অফিসার পুলিশ কর্মি সিভিক ভলেন্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।সিআই ধনিয়াখালী দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,রূপান্তরকামীদের বিষয়ে আমাদের কিছু বিষয় জানানোর ছিল আমাদেরও কিছু জানার ছিল। সেই বিষয়ে কলকাতার ওই সংগঠনের সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।আমরা একটা জোনে এই শিবির করলাম আগামী দিনে জেলার অন্যত্র হবে।