এই মুহূর্তে কলকাতা

বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠকে গড়হাজির বিজেপি ও আইএসএফ।

কলকাতা, ২৪ জুলাই:- মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ইস্যুতে সরগরম হতে চলেছে বিধানসভার চলতি অধিবেশন।মণিপুরের লাগাতার হিংসা, নারী নির্যাতন নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভার চলতি অধিবেশনে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনছে। এদিকে মণিপুরের পাল্টা হিসাবে এরাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে বিজেপি অধিবেশনে সরব হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।বিধানসভার অধিবেশনের প্রথম দিন ছিল সোমবার, প্রথামাফিক সব দলের সদস্যদের নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকেন স্পিকার। কিন্তু বিরোধী বিজেপি এবং আই এস এফের একমাত্র সদস্য নওশাদ সিদ্দিকী বৈঠকে যোগ দেননি। ফলে শুধু তৃণমূলের বিধায়কদের নিয়েই হয় বৈঠক। বোস বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভার রীতি ভঙ্গ করছে শাসকদল। বিরোধীদলকে সম্মান দেয় না। সেই কারণে বয়কট বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকের পর নির্ধারিত সময়েই অধিবেশন শুরু হয়। প্রথামাফিক শোকপ্রস্তাব পাঠের পরে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। আগামী দুদিন বিধানসভায় বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে প্রশ্নোত্তর পর্ব। বিধানসভার কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মণিপুরে যা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক।

গত ৩মাস ধরে সেখানে লাগাতার হিংসা চলছে। নারীদের উলঙ্গ করে হাঁটানো হচ্ছে, গণধর্ষণ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আরও দুর্ভাগ্যজনক কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা। বিজেপি ডবল ইঞ্জিন সরকারকে প্রবল কটাক্ষ করে পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, মণিপুরে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে, তাও সেখান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। শোভনদেবের কথায়, ভারতের সভ্যতা ৩ হাজার বছরের পুরনো। সেখানে মেয়েদের উপর বর্বরোচিত অত্যাচার অত্যন্ত লজ্জাজনক। মণিপুরের বিষয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ নীরবতা নিয়েও প্রবল খোঁচা দেন পরিষদীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের এক রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে। আর এতদিন পরে তা নিয়ে মাত্র আড়াই মিনিট সময় ব্যয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বাইরে ও ভিতরে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বেশি বকেন। কিন্তু মণিপুর নিয়ে উদাসীন মোদির। ক্ষমতায় থাকার জন্য মৌন কেন্দ্রের সরকার, এটা লজ্জাজনক- মত শোভনদেবের। বিজেপির অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যেও মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। সেই অভিযোগ উড়িয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, এতবড় দেশে কোথাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা পারে। কিন্তু মণিপুরে গত তিনমাস ধরে লাগাতার হিংসা চলছে। এর শেষ কোথায়! প্রশ্ন তোলেন বর্ষীয়ান বিধায়ক। এই বিষয় নিয়ে বিএ কমিটির বৈঠকের পরে নিন্দা প্রস্তাব আনা হবে।