কলকাতা, ২৪ জুলাই:- রাজ্যের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প এখন সব রাজ্য নকল করছে। ভালো জিনিস সবাই নকল করে। সোমবার, ধনধান্য স্টেডিয়ামে মহানায়ক উত্তমকুমারের ৪৩তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আশা কন্যাশ্রী একদিন বিশ্বশ্রী হবে, মেধাশ্রী, যুবশ্রী একদিন বিশ্বশ্রী হব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানান, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন মূলক প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘দুয়ারে সরকার’ অন্যান্য রাজ্য সরকার নকল করছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ভালো জিনিসই নকল হয়। এতে আমরা গর্বিত।
এদিন বাংলা ছবির জগতের আটজন বিশিষ্ট পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রীকে ‘মহানায়ক’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
হরনাথ চক্রবর্তী, কোয়েল মল্লিক, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সোহিনী সরকারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকারের তরফে সব সময়ই নবীন প্রজন্মকে উৎসাহ দেওয়া হয়। কারণ, তাঁরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। মমতা জানান, ২৪ অগাস্ট টেলি অ্যাকাডেমি সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান হবে। উত্তমকুমারের স্মরণে মমতা স্মৃতির পাতা ওল্টান। বলেন, একদিন তিনি মায়ের সঙ্গে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন কয়েকজন বলতে বলতে যাচ্ছিল, উত্তমকুমার মারা গিয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছিলেন সেদিন। এর পরেই তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, রবীন্দ্রসদনে উত্তমকুমারের দেহ রাখার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, উত্তমকুমারকে কেউ মহানায়ক করেনি। তিনি নিজের প্রতিভার গুণে ‘মহানয়ক’ হন। মানুষ তাঁকে এই সম্মান দিয়েছিল। যাঁরা পেলেন ‘মহানায়ক’ সম্মান পেলেন, তাঁদের কাছ এটা গর্বের বলে মত মমতার।