এই মুহূর্তে জেলা

বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বৌমার বিরুদ্ধে।

হুগলি, ২৩ জুলাই:- বৃদ্ধাকে পিটিয়ে তার নিজের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বৃদ্ধার পাতানো বৌমার বিরুদ্ধে।প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়ি ফিরলেন বৃদ্ধা। আজ সকাল থেকে উত্তরপাড়া টিএন মুখার্জি লেনে এক স্বর্ণের দোকানের বাইরে এক অজ্ঞাত পরিচয় বৃদ্ধা কে বসে কাঁদতে দেখেন এলাকার মানুষ,এলাকার মানুষ এর তৎপরতায় তৎক্ষণাৎ পুলিশে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন বছর ৬৫ এর বৃদ্ধা রুবি রানী বোস অভিযোগ করেন যে তার নিজের বাড়িথেকে তাকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন সময় উত্তরপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান কে এলাকার লোকেরা খবর দেন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন উত্তরপাড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান খোকন মন্ডল,তখন তিনি এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মানিক সিংহ রায় পুলিশের সামনে সেই সময় রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া এক মহিলা কে সনাক্ত করেন যিনি অভিযুক্ত সুস্মিতা দাস, এবং তাকে পুলিশ ডাকলে প্রথমে তিনি পালিয়ে যেতে জান এরপর পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষ তাকে সামনাসামনি ধরে ফেলেন। এর পর সুস্মিতা দাস দাবী করেন যে তিনি ওই বৃদ্ধার পুত্র বধূ কিন্তু বৃদ্ধা রুবি রানী দাবী করেন তিনি কোনোদিন বিয়েই করেননি।

উত্তরে সুস্মিতা দাস নিজেকে বৃদ্ধার পালিত সন্তানের স্ত্রী বলে জানান। এই বিষয়ে বৃদ্ধা জানান যে বৃদ্ধার বাড়িতে যিনি পরিচারিকা (যমুনা দাস)কাজ করতেন তার সন্তান সোমনাথ দাসকে এই বৃদ্ধা সন্তানের লালন পালন করার জন্যে ব্যায় ভার পালন করতেন। জানাযায় সোমনাথ দাস পড়া সোনা শেষ করে বিয়ে করেন, তারপরেও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যান সেই সময়ে তার পাতানো মা রুবি রানী বোস সোমনাথ দাসের চিকিৎসার জন্যে লক্ষাদিক টাকা খরচ করেন। কিন্তু সোমনাথ দাসের মৃত্যুর পর থেকে রুবি রানী বোসের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন তার পাতানো বৌমা সুস্মিতা দাস, এবং বৃদ্ধা রুবি রানী বোসের ওপর অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বাড়তে থাকে যে আজ বৃদ্ধা রাস্তায় গিয়ে বসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান আজ সকাল থেকে তারা দেখেন এক মহিলা রাস্তায় বসে কাঁদছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশ কে জানান পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে ঢোকান। পুলিশের সামনে রুবি রানী বোস জানান যে তাকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করেন তার পালিত পুত্র বধু।তিনি জানান তিনি নিজের মতো করে শেষ জীবন টা কাটাতে চান। মৃত সোমনাথ দাসের ভাই মানিক দাস জানান যে তারা পুরো পরিবার রুবি রানী বোসের ওপর কৃতজ্ঞ তিনি জানান উনি আমাদের পাতানো মা, বা তিনি আরও জানান বাড়ি ভাগের সময় বৌদি কে দাদার একাউন্টে ২ লক্ষ ৫০ টাকা মতো দিয়েছিলাম তার প্রমান আমার কাছে আছে।