এই মুহূর্তে জেলা

হিংসা ও অশান্তির আবহে চলছে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট।

সোজাসাপটা ডেস্ক, ৮ জুলাই:- হিংসা এবং অশান্তির আবহে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ভোট গ্রহণ পর্ব চলছে। আজ সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত ঘরে ভোট পড়েছে ২২.৬০ শতাংশ। ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই জেলায় জেলায় অশান্তি, গুলি চালনা, প্রাণহানি, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসতে শুরু করে। বিভিন্ন জেলা থেকে এ পর্যন্ত অন্তত নয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে পাঁচজন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য বলে জানা গেছে। ভোটের হিংসায় বিজেপি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের ও একজন করে সমর্থক এবং একজন নির্দল প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে নির্বাচন সূত্রে খবর। ভোটকেন্দ্রিক হিংসায় বহু মানুষ যখন হয়েছেন। অন্তত দুটি বুথের ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। বহু জায়গাতেই ভোটকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী বা নিরাপত্তা কর্মীদের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ।

এমতাবস্থায় বিভিন্ন বিরোধী দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভোট বাতিলের ও দাবি উঠেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এ পর্যন্ত ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়ন করা হয়েছে। কোন কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে এবং তাদেরকে কোন কাজে লাগানো হচ্ছে তা নিয়ে সমস্ত জেলা নির্বাচন অফিসারদের কাছ থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোট হিংসার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে দায়ী করেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন পঞ্চায়েত ভোটে ‘রাক্ষসতন্ত্রে’র উদযাপন চলছে। ইচ্ছে করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকমতো মোতায়েন করা হয়নি বলে তার অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ অভিযোগ করেন কংগ্রেস সিপিআইএম বিজেপি ও কোথায়ও কোথায় ও ISF জোট হয়ে তৃণমূল কর্মীদের নিশানা করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

তৃণমূল কংগ্রেস গোড়া থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে শান্তি চাইছে বলে তাঁর দাবি। কংগ্রেস ভোটে অব্যবস্থার অভিযোগ জানিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাইলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে চিঠি দিলেন তিনি৷ তিনি জানিয়েছেন, আদালতের বারবার নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকাল থেকে ব্যাপক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ই-মেইল করে এই কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অবিলম্বে বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে একের পর সহিংসতার ঘটনায় ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি আজ উত্তর ২৪ পরগনার বাসুদেবপুর ও বারাসাত এলাকায় যান। কদম্বগাছিতে গুলিবিদ্ধ নীলদল প্রার্থীর পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। ভোট সম্পর্কিত বিষয়ে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ জানতে ও সেগুলোর বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজভবনে পিসরুম চালু করেছেন রাজ্যপাল।