এই মুহূর্তে কলকাতা

ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থার রূপরেখা চূড়ান্ত করে ফেলল কমিশন।

কলকাতা, ৩ জুলাই:- আদালতের নির্দেশ মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থার রূপরেখা চূড়ান্ত করে ফেলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিনই বকেয়া আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ফলে পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য রাজ্যের হাতে থাকছে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য়পুলিশের পাশাপাশি ভিন রাজ্য়ের পুলিশও মোতায়েন করা হবে পঞ্চায়েত ভোটে। ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ৮০ হাজারের কাছাকাছি রাজ্যের নিজস্ব বাহিনীর পাশাপাশি পড়শি রাজ্যের পুলিশ পঞ্চায়েত ভোটে মোতায়েন করা হবে বলেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন জেলার ৪৮৩৪টি স্পর্শকাতর বুথকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুথের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে মোট ৬৬ হাজার সশস্ত্র পুলিশ কর্মী। এছাড়া মোট ৮৫০০ মোবাইল ইউনিট থাকবে। যারা বোটের দিন এলাকায় এলাকায় টহলদারি চালাবে। এছাড়া ডিসিআরসি এবং স্ট্রংরুমের নিরাপত্তাতেও থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। কমিশনের নির্দেশ সব বুথেই সিসিটিভি নজরদারি থাকবে। সম্ভব না হলে ভোট প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।

সব বুথ চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। কমিশনের তরফে নোডাল অফিসার হিসাবে অতিরিক্ত সচিব এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) বাহিনী মোতায়েন ও পরিচালনার বিষয়টি দেখভাল করবেন। ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারির জন্য ২২ জেলায় ২১ আইএএস আধিকারিককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও ২৩৮ জন ডব্লুবিসিএস আধিকারিককে সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে ব্লকস্তরে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। সাধারণ মানুষের ভোট সংক্রান্ত ভাব অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সোমবার থেকেই ব্লক, মহকুমা ও জেলায় কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাজ্যের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমের নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৫৫৫৩। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। সেই মত ব্লকস্তরে একটি করে কেন্দ্রীয় গণনা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। ভোট গণনা হবে ১১ জুলাই। যদিও বিরোধীরা প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে অনড় রয়েছে। এ ব্যপারে এদিন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে কমিশন জানিয়েছে, তাদের কাছে সব বাহিনীই সমান। কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের বাহিনীর মধ্যে বিভেদ কোনও বিভেদ নেই। তবে সব বুথেই যাতে সশস্ত্র বাহিনী থাকে কমিশন তা নিশ্চিত করবে।