এই মুহূর্তে কলকাতা

মনোনয়ন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় মুখ্যসচিব।

কলকাতা, ৯ জুন:- দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হল জোর কদমে। বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা। তারপর এদিনই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে এদিনই দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক মনোজ মালব্য দুপুরে কমিশনে এসে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে মনোনয়ন পেশ থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত রাজ্যের সামগ্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয় বলে জানা গেছে। প্রশাসনিক পর্যালোচনায় প্রাথমিক ভাবে পাঁচ জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা রয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। তবে রাজ্যের সব কটি বুথ ই স্পর্শ কাতর ধরে নিয়ে নির্বাচন কমিশন সেই মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোন প্রশ্ন নেই বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু একান্ত প্রয়োজন পড়লে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের থেকে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী হবে।বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এবার পঞ্চায়েতের বুথ সংখ্যা বেড়েছে তাই নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাটাও বাড়বে। তবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে প্রত্যেক বুথেই। লাইন ঠিক করবে লাঠিধারী পুলিশ। পাশাপাশি থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। সেক্টর অফিসেও থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সশস্ত্র ও লাঠিধারী পুলিশ। প্রত্যেক বুথেই সিসিটিভি মনিটরিং করার প্রচেষ্টা চলছে। যেখানে নেটওয়ার্কের সমস্যা আছে সেখানে ভিডিওগ্রাফি করার ব্যবস্থা করা হবে বলে এখনো পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা পর্যাপ্ত নয় বলে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও কমিশন ওই সময়সীমা অপরিবর্তিত রাখার ওপরেই জোর দিয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বা তোলার জন্য যতটা সময় দেওয়া হয়েছে, তার থেকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে কমিশন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সেই অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।