এই মুহূর্তে জেলা

ছবছর বয়সেই ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট চুঁচুড়ার বর্ণালীর।

হুগলি, ১৮ মে:- যে বয়সে হাত পায়ে চঞ্চলতা থাকে, সেই বয়সে হাত পায় সঠিক দিশায় ব্যবহার করে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ চুঁচুড়ার বর্ণালী চন্দ। প্যাঁচ পয়জার ক্যারাটের পরিভাষায় যাকে কাতা বলা হয়, মাত্র ছয় বছর বয়সে সেই দশটি কাতা শিখে দেশের মধ্যে ক্ষুদে ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী হয়েছে সেন্ট টমাস স্কুলের ক্লাস টুয়ের ছাত্রী বর্ণালী। বাবার হাত ধরে মাত্র তিন বছর বয়স থেকে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ শুরু হয় বর্ণালীর। চন্দননগরের ক্যারাটে প্রশিক্ষক অমিতাভ ঘোষের কাছে। বর্ণালী বাবা সুজয় চন্দ বলেন, করোনার সময় স্কুল ছুটি সব কিছু বন্ধ থাকায় সুবিধা হয়েছে মেয়ের। ওর ইচ্ছা দেখে প্রতিদিন দুবেলা প্রশিক্ষণ দিতে নিয়ে গেছি প্রিয়নগর মাঠে। একা একাই শিক্ষকের কাছে শিখত। ফলে অনেকটা বেশি সময় ধরে শিখতে পেরেছে।

বর্ণালী ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, ইন্টারন্যাশনাল কালামস গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস, ওএমজি রেকর্ডস, আমেরিকা রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতি মিলেছে। লিমকা বুক অফ রেকর্ডস এবং গিনেশ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর জন্য আবেদন করা হয়েছে। বর্ণালী বলে, আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে শেখা জরুরি। আবার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজে দেয় মার্শাল আর্ট। বাবা বলেন, মেয়ের ক্যারাটে শেখার প্রতি ঝোঁক দেখে ওকে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু খুব অল্প সময়ে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছে। ডিফেন্স অ্যাটাক নিয়ে ক্যারাটের যে দশটি কাতা আছে সব খুব অল্প সময়ে রপ্ত করেছে। তার পুরস্কার স্বরূপ ব্ল্যাক বেল্ট। আসলে সুস্থ শরীর থাকলে সুস্থ সমাজ গড়ে উঠতে পারে তাই মেয়েকে ক্যারাটে শেখতে দেওয়া।