এই মুহূর্তে জেলা

মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ বাঁচালেন সিভিক ভলেন্টিয়ার।

হুগলি, ১ মে:- এক মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ বাঁচালেন সিভিক ভলেন্টিয়ার ঘটনা আরামবাগের। এক বিন্দু রক্ত যে মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে, তা আরো একবার প্রমাণ মিলল। আরামবাগ ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মির সামসেদ তার ২২ বছরের অসুস্থ মেয়েকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থতার কারণে ভর্তি করে চিকিৎসকরা জানায় এক্ষুনি তাকে রক্ত দিতে হবে তার শরীরে রক্তের পরিমাণ অনেক কম আছে। তা না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না। গ্রীষ্মকাল পড়তে না পড়তেই এদিকে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের অভাব দেখা দিয়েছে তার শরীরের রক্ত কোথাও মিল ছিল না। চতুর্দিকে খোঁজ খবর নেয় কিন্তু তার রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে চিকিৎসকরা জানায় তাকে এক্ষুনি রক্ত দিতে হবে তা না হলে প্রাণ সংশয় রয়েছে সেই সময় নির শামসেদ তার মেয়ের প্রয়োজনীয় রক্তের জন্য সবার কাছে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে হঠাৎই আরামবাগ ট্রাফিক ওসি সরোজ কুন্ডু স্যারকে দেখতে পেয়ে কাক অতি-মিনতি শুরু করে মেয়ের প্রাণ বাঁচানোর জন্য রক্তের প্রয়োজন।

সেই সময় সেই রক্তের গ্রুপ জেনে আরামবাগ ট্রাফিক ওসি সরোজ কুন্ডু তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি পোস্ট করেন সেই পোস্ট দেখে একসিভিক ভলেন্টিয়ার সেই পোস্টটি দেখেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক ওসি সরোজ কুন্ডুর সাথে যোগাযোগ করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিন শুভ্র হাজরা বাড়ি আরামবাগ থানার জয়রামপুর গ্রামে, সঙ্গে সঙ্গে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পৌঁছে যায় রক্ত দেওয়ার জন্য। এবং চিকিৎসকদের বলেন আমি রক্ত দিতে চাই। ওই রোগীর জন্য চিকিৎসকেরা সঙ্গে সঙ্গে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিন শুভ হাজরার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে ওই মুমূর্ষ রোগীর শরীরে দেয়। এ বিষয়ে অবশ্য রক্তদাতা সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিন শুভ্র হাজরা জানায় আমি একজন মানুষ হিসাবে একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রক্ত মানুষের শরীরেই তৈরি হয়। বিজ্ঞান এখনো এই রক্ত আবিষ্কার করতে পারেনি বিকল্পভাবে। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারেনি একজন মানুষ হিসাবে। আমার মানবিকতার মধ্য দিয়েই আমি ওই মুমূর্ষ রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছি। এবং প্রত্যেকটি মানুষেরই এই দায়বদ্ধতা একজন মানুষ হিসাবে আরও একজন মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।