নদীয়া, ১৯ এপ্রিল:- তৃণমূলের মধ্যে পিসি তৃণমূল না ভাইপো তৃণমূল? এই নিয়ে লড়াই চলছে। আগে বাবার দরবারে সব পাগল ছিল এখন পিসির দরবারে পাগল গুলো এসেছে। এদিন নদীয়ার শান্তিপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসে রাজ্যে শাসক দলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রথমে তিনি জাতীয় সড়কে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাইক রেলি করেন। এরপরেই শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুরে একটি বেসরকারি লজে দলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার মুকুল রায় প্রসঙ্গে বলেন, অনেকেরই অনেক কিছু ইচ্ছা হয়। বিষয়টা পুরো ঘোলা জলের মধ্যে রয়েছে আগে পরিষ্কার হোক। উনি এখনো অফিসিয়ালি আমাদের দলের বিধায়ক। যদিও তার বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে আমরাই মামলা করেছিলাম। কারণ তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। টাটা এবং শিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু টাটা নয়, আমরা এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যের শিল্প ব্যবস্থার পরিবর্তন করব।
কলকাতার সন্নিকটের প্রতিটি জেলায় যেখানে শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে সেখানে শিল্প তৈরি করব। কারণ লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বেকার যুবক-যুবতীদের কেউ সরকারি চাকরি দিতে পারবে না। চাকরি হবে শিল্পের মাধ্যমে আর সেটা আমরা করব। পাশাপাশি তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরমে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ চাইছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসে বলে গেছেন ১৪ তারিখে আর প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন ১৭ তারিখে। তার থেকেই বোঝা যায় উনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। জাতীয় দলের তকমা খোয়ায়ান ও প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, আমি শুনেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে তিনবার ফোন করেছিলেন। তিনি ফোন করতেই পারেন। তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপির খেয়েদেয়ে কাজ নেই তাপস সাহার বিরুদ্ধে লাগতে যাবে। যদি কারো পিছনে লাগতে যায় তাহলে তৃণমূলের আরো অনেক বড় বড় নেতা আছে তাদের পিছনে লাগবে।
অন্যদিকে অপরূপা পোদ্দারকে হোয়াটসঅ্যাপে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এফআইআর করতে বলুন উনাকে যদি বিজেপি নেতা খুনের হুমকি দিয়ে থাকে। তার আগে উনার নামটা ঠিক করুন, উনার নামটা কি অপরুপা পোদ্দার নাকি আফরিন আলী। তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় তাকে কম্বল বিতরণ করতে দেখা যায় তীব্র দাবদ্বয়ের মধ্যে। সেই প্রসঙ্গেই সুকান্ত মজুমদার বলেন আমরা একটা গান শুনেছি বাবা তোর দরবারে সব পাগলের খেলা। আগে সব পাগল বাবার দরবারে ছিল এখন সব পাগল পিসির দরবারে রয়েছে। যদিও পরবর্তীতে তিনি এক দরিদ্র পরিবারে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সাড়েন। মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বরা। জানা যায় ওই দরিদ্র পরিবারটি বিজেপি করে বলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর থেকে বঞ্চিত, তাই ওই দরিদ্র পরিবারের মাটির ঘরে বসেই মধ্যাহ্নভোজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার।