এই মুহূর্তে জেলা

অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের ত্রিস্তরীয় কারশেডের উদ্বোধন হাওড়ায়।


হাওড়া, ২৯ মার্চ:- বন্দে ভারত রক্ষণাবেক্ষণ ডিপো এবং স্বয়ংক্রিয় ইএমইউ কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্টের শুভ সূচনা হলো হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ে। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা এর উদ্বোধন করেন। পূর্ব রেলের ঝিল সাইডিং ডিপোতে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মেনটেনেন্স ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। বুধবার সকালে এই ইউনিটের উদ্বোধন হয়। এদিন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা বলেন, অত্যাধুনিক এই ইউনিটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মেইনটেনেন্স এর কাজ হবে। ত্রিতল বিশিষ্ট এই কোচিং কমপ্লেক্সে ট্রেন ঢোকার পর নিচের অংশ, মাঝে অংশ এবং উপরের অংশ বিভিন্ন তল থেকে দেখা যাবে। এদিন প্রথম পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করা হয়। খরচ হয়েছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এরপর এই কোচিং কমপ্লেক্সের গতিশক্তি প্রকল্পে ফেজ টু এবং থ্রি পর্যায়ের কাজ হবে। খরচ হবে ১০৩ কোটি এবং ৬৪ কোটি টাকা। এদিন পূর্ব রেলের সর্ববৃহৎ রেল কারশেডের উদ্বোধন হয়। মূলত বন্দে ভারতের মতো অত্যাধুনিক সেমি বুলেট ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই এই কারশেডটি তৈরি হলেও আগামীদিনে বন্দে ভারতের মতো আরও আধুনিক ট্রেনের সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ এখান থেকে করা সম্ভব হবে বলেই দাবি করেছে পূর্ব রেল।

প্রায় একশো চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয় করে এই অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত ত্রিস্তরীয় কারশেডের মাধ্যমে ট্রেনের একেবারে নিচে, বগির মাঝামাঝি ও একদম ছাদের অংশকেও খুব সহজেই নিরীক্ষিণ করা সম্ভব হবে এই ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থায় এমনটাই দাবি পূর্ব রেলের। আগামীদিনে এই ধরণের অপর একটি কারশেড তৈরির পরিকল্পনা নিতে চলেছে পূর্ব রেল। পূর্ব রেলের জিএম জানান, এই দিনটি তাঁদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ঝিল রোডের এই কারশেডটি পূর্ব রেলের সবচেয়ে দৈর্ঘ্যতম কারশেড কমপ্লেক্স বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান প্রধানমন্ত্রীর স্বনির্ভর ভারত পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে বন্দে ভারতের মতো ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জায়গার প্রয়োজন ছিল। তাই রেল মন্ত্রকের অন্তর্গত আরবিএমএল সংস্থা এই ঝিল সাইডে দুটি পর্যায়ে এই নির্মাণ কাজ করেছে। এই ধরণের কারশেড ট্র্যাক ট্রেনের নিচে, বগির ভিতরে ও ছাদের সম্পূর্ণ নিরীক্ষিণ চালাতে সাহায্য করে। প্রথম পর্যায়ের কাজে একশো চল্লিশ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এছাড়াও হাওড়ার গতি শক্তি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরেকটি কারশেড তৈরী করা হবে যার জন্য একশো তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় পর্যায়ে ৬৪ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলেই জানান তিনি। এই কারশেড থেকে একদিনে ৫ টি ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।