এই মুহূর্তে জেলা

পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধনে সিঙ্গুরে এসে কেন্দ্রকে নন্দলাল বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর।


হুগলি, ২৮ মার্চ:- পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের সিঙ্গুরে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পথশ্ৰী প্রকল্পে সিঙ্গুরের রতনপুর থেকে সারা বাংলা জুড়ে বার হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা উদ্বোধন করেন। রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় নয় হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা নির্মান হবে বলে জানান। রাজ্য জুড়ে সমস্ত রাস্তা নির্মানের জন্যে পৌনে চার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সিঙ্গুরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের রাজ্যের প্রাপ্য টাকা না দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, এক পয়সা না দেওয়া সত্ত্বেও আমরা একশো দিনের মধ্যে ছাব্বিশ দিনের কাজ করিয়ে দিয়েছি। শুধু ছবি লাগালে হয় না। বুদ্ধি খরচ করে কাজ করতে হয়। ২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর গোটা রাজ্যে ৩০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ছিল। সেই রাস্তা ছিল ঢেউ খেলানো। রাস্তায় মাছের চাষ করা যেত। আমাদের সরকার ১ লাখ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছি। মমতা বলেন, “অনেক সময় রাস্তা তৈরি করলেও, বড় ট্রাক গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলাচলা করে।

সেই কারণে রাস্তা ভেঙে যায়। গ্রামবাসীরা বড় ট্রাক গ্রামের রাস্তা ঢুকতে দেবেন না। ছোটো গাড়ি বা অন্যন্য গাড়ি চলাচল করলে কোনও সমস্যা নেই।এদিন রাস্তা বাঁচানোর পদ্ধুতি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বড় মালবাহী গাড়ি গ্রামের রাস্তায় ঢুকতে দেবেন না। ওই গাড়ির ভারে রাস্তা দ্রুত খারাপ হয়ে যায়৷ বড় মালবাহী গাড়ি বড় রাস্তায় চলবে। বড় গাড়ি ছোট রাস্তায় ঢুকতে দেবেন না। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাস্তা তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা পুরস্কার পেয়েছি। গ্রাম বাংলার চেহারা পালটে গিয়েছে। সিঙ্গুর নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সিঙ্গুর আন্দোলন গোটা দেশে পরিচিতি পেয়ছিল। এই সেই সিঙ্গুর যেখানে তাপসী মালিককে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এখানে আমার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছি। আমরা কথা দিয়েছিলাম, কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের জন্য টাটাদের ন্যানো কারখানা গুজরাটে চলে গিয়েছিল। তারপর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিল্প বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে চলেছে। তাই সেখানেই এবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আট একর জমিতে নয় কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয় করে তৈরি হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।