এই মুহূর্তে জেলা

সাত শতাধিক বছর পর কুম্ভস্থান ত্রিবেণীতে।

হুগলি, ১৩ ফেব্রুয়ারি:- বাংলার মাঘ সংক্রাতিতে কুম্ভ মেলার আয়োজন ত্রিবেণীতে। ৭০৩ বছর পর গঙ্গার তিন নদীর মুক্ত বেণী হচ্ছে হুগলির বাঁশবেড়িয়ার ত্রিবেণীতে। তাই হিন্দু শাস্ত্রে এর গুরুত্ব রয়েছে সাধু সন্ত থেকে সাধারণের কাছে। অতীতে এখানেই কুম্ভ স্থান ও মেলা হত। নানা ইতিহাস খুঁজে মহানির্মানী আখড়ার সাধু সন্তরা কুম্ভের সন্ধান পেয়েছেন। তারই জন্য সেজে উঠছে ত্রিবেণী জুড়ে। সেই উপলক্ষ্যে প্রশাসনিক তৎপরতা ও শুরু হয়েছে। বহু বছর আগে বিদেশি আক্রান্তাদের কারনে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় হিন্দুদের এই কুম্ভস্নান। বাংলায় পৌষ সংক্রান্তিতে যেমন গঙ্গা সাগরমেলা হয়। তেমনি ত্রিবেণীতে মাঘ সংক্রান্তি অর্থ্যাৎ বিষুব সংক্রান্তিতে এই কুম্ভ স্নানের আয়োজন হত।যদিও সংক্রান্তি উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষজন ত্রিবেণীতে স্নান করতে আসেন।

গত বছর থেকেই সেই স্নানকে নতুনভাবে প্রতিষ্টিত করেন সাধুরা। আর এবছর নানা ইতিহাস খুঁজে বার করেন একদল গবেষক। সেই অনুযায়ী তাই ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালনা সমিতি, সাধু সন্তরা ও বাঁশবেরিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এই ধার্মিক অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করছে। ১২ ফ্রেব্রুরারি থেকে ১৪ ফ্রেব্রুরারি পর্যন্ত চলবে এই কুম্ভমেলা। ১৩ ই ফ্রেব্রুরারি কুম্ভস্নান হয়। প্রথমে সপ্তর্ষি ঘাটে সাধুরা স্নান করেন। পরে বাকি অন্যান্য ঘাটে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হুগলি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রিবেণী শিবপুর মাঠে বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। ত্রিবেণী গঙ্গার কাছেই বহু নাগা সন্ন্যাসী ও সাধুরা তাদের আখড়া করেছেন।

স্তত্ৰ পাঠ থেকে সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতি হয়। গত বছর এর সূচনা হলেও এবছর কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৩ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। সেই অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা প্রস্তুত।মহামন্ডলেশ্বর পরমহংস স্বামী পরমাত্মনন্দজী মহারাজ শনিবার মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে আসেন। এক ধর্মসভা থেকেই সমস্ত মানুষকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন আগামী কাল ৭০৩ বছর পর এবারে দুবছরের এই কুম্ভস্নান ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই কুম্ভ বাঙালির পুনরুদ্ধারের চেষ্টা। আশা করছি বহু মানুষ আসবেন।প্রভুর আশীর্বাদ থাকে মাহেশ হয়েই ত্রিবেণী তীর্থে পৌঁছাতে হবে।হারানো সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে দেওয়া জন্যই এই চিন্তা ভাবনা। বাংলা ও বাঙালির নতুন করে জাগরণ ঘটুক এটাই প্রভুর কাছে আবেদন আমাদের।