হাওড়া, ৫ ফেব্রুয়ারি:- ‘সিপিএম, বিজেপি’কে বলব গলাগলি না করে একা লড়ুন।’ শনিবার কেশপুরে অভিষেকের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে রবিবার হাওড়ায় এসে এর কড়া জবাব দেন বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘ওনাকে (অভিষেক) বলতে দিন। চিরকালই উনি ওটা করেন। আসলে সব একটার পর একটা ঘোমটা খুলে গেছে। তাই এখন নতুন তাস দিতে হবে। আগে যত যত চুরি করেছে যা যা দুর্নীতি হয়েছে সেই চুরি দুর্নীতি থেকে নিজেদের নামগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করুক।’ অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী আরও বলেন, ‘শুধু বীরভূম কেন গোটা রাজ্য জুড়েই এখন বোমা, গুলি, বারুদ। রোজ গুনে দেখুন, গত ‘২২এর জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। একটা সপ্তাহ বাদ নেই গোটা রাজ্যের কোনও না কোনও প্রান্ত বোমা, গুলি, বারুদের স্তুপে পরিণত হচ্ছে। কেউ কি গ্রেফতার হয়েছেন? তাদেরকে কি তলব করেছেন? রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী, ডিআইজি, ডিজি তাঁদের পাত্তা কোথায়? সবাই চুপ করে বসে রয়েছেন।
সবাই হতে দিচ্ছেন।’ নওশাদ সিদ্দিকী’র গ্রেফতারির প্রসঙ্গে মীনাক্ষী এদিন বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করতে গিয়েছেন। যারাই গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেন পুলিশ তাদেরকেই জেলে ভরে দিচ্ছে। নওশাদ সিদ্দিকী এই রাজ্যের বিধায়ক। তাঁর সাথেও পুলিশ, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন যে ঘৃণ্য আচরণ করছে পশ্চিমবাংলার মাটিতে এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু পশ্চিমবাংলার মাটিতে এই কাজ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। এবার এগুলোকে বন্ধ করার সময় এসেছে। গোটা রাজ্যের মানুষকে বলব এই বিষয়ে এককাট্টা হয়ে দাঁড়ান।’ প্রসঙ্গত, অনূর্ধ-১৯ টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হৃষিতা বসু’কে অভিনন্দন জানাতে রবিবার সকালে হাওড়ায় আসেন মীনাক্ষী। হৃষিতাকে শুভেচ্ছা সম্বর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি অনুপ্রেরণা দেন তিনি। মীনাক্ষী বলেন, ‘হৃষিতা ওর মতো খেলে যাক। ওকে দেখে যাতে আমাদের গোটা দেশের আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এই খেলায় আরও উৎসাহিত হয় এবং তারাও যাতে খেলার একটা পরিবেশ পায় সেটাই চাই।’