এই মুহূর্তে জেলা

জিরাটে শুরু হল লালন উৎসব।

হুগলি, ৩ ফেব্রুয়ারি:- বাউল ফকির লোকগানের সমাবেশে চরাদিন মাতোয়ারা থাকবে হুগলি জেলার জিরাট। জিরাট কলোনি হাই স্কুল মাঠে বৃহস্পতিবার পঞ্চম বর্ষ লালন উৎসবের ঢাকে কাঠি পরল। বলাগরের জিরাটের এই উৎসবের লোক সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চলছে। লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন আঙ্গিক অর্থাৎ ঝুমুর দরবেশ বাউল ফকির মনসামঙ্গলের ইতিহাসকে নিয়ে এই উৎসব। মুলত লালন সাঁইয়ের ভাবধারা এবং বাংলার লোকসংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই এই উৎসবের সূচনা হয়। লালন বলেছিলেন, কেউ মালা কেউ তসবির গলে তাই তো রে জাত ভিন্ন বলে, কিংবা আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রানে। সবার উপরে মানুষ সত্য এই বাণীকে সামনে রেখেই দলমত জাতি নির্বিশেষে লালন উৎসবের ভাবনা। একদিকে যেমন লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যকে বহন করে এই উৎসব ঠিক তেমনভাবেই বাংলার হারিয়ে যাওয়া হস্তশিল্পের বিভিন্ন স্টল দেওয়া হয় এই উৎসবের মেলায়।

সোনাঝুরির হাটের আদলে সেই বস স্টলে ধনিয়াখালি থেকে কেউ তাঁত আবার কেউ হ্যান্ডলুমের তৈরি নানান পোশাক গয়নাগাটি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র কাঠের জিনিস নিয়ে এসে পসরা সাজিয়েছেন। আগামী রবিবার পর্যন্ত চলবে বাউল উৎসব এবং মিলন মেলা। গত দু’বছর কোভিডের জন্য অনেক কাট ছাঁট করে সাজানো হয়েছিল মেলা। এবারেও রয়েছে নানান প্রতিবন্ধকতা তাকে সঙ্গী করে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। এই চার দিন মিলন মেলা পরিনত হবে মানব মেলায়। উত্তরবঙ্গ বোলপুর পুরুলিয়া থেকে যেমন আসছেন ঝুমুর শিল্পীরা ঠিক তেমনি ওপার বাংলা থেকেও আসছেন গুণী শিল্পীরা। আসছেন বগা তালিব, নুর আলম এপারের লক্ষণ দাস বাউল সহ আরো প্রখ্যাত মাটির শিল্পীরা। এই মঞ্চ যাদের নতুন করে পরিচয় দেবে। বৃহস্পতিবার বলাগড় ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। জিরাট বাসস্ট্যান্ড থেকে কালিয়াগড় চৌমাথা পর্যন্ত একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেখানে এলাকার শতাধিক মানুষ যোগদান করেন।