এই মুহূর্তে কলকাতা

নেতাজির প্ল্যানিং কমিশন পরিকল্পনাকে বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার- মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা, ২৩ জানুয়ারি:- নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে সোমবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১ টি বড় দ্বীপের নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে নিল ও হ্যাভলক দ্বীপ। নেতাজি যেগুলির নামকরণ করেছিলেন শহিদ ও স্বরাজ বলে। এদিন রেডরোডে নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য কেউ কেউ দাবি করছে যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপ। কিন্তু এই দ্বীপগুলির নাম সুভাষচন্দ্র বসু সেলুলার জেল পরিদর্শনের সময় দিয়েছিলেন।’ রেডরোডে নেতাজির জন্মদিনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজিত ওই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ছিলেন নেতাজির পরিবারের দুই সদস্য সুগত বসু ও চন্দ্র বসু। প্রসঙ্গত বলা যায়, ২০১৮ সালে আন্দামানের নীল আর হ্যাভলক দ্বীপের নাম পরিবর্তন করে কেন্দ্র শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপ করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সম্মান জানাতে রস দ্বীপকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ নামেও পুনঃনামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার এই দ্বীপপুঞ্জ লাগোয়া ২১টি বড় দ্বীপের আবারও নমকরণ করা হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ২১টি দ্বীপের নাম পরমবীরচক্র পুরষ্কারপ্রাপকদের নাম অনুসারণে রাখেন। তারপরই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায আক্রমণ করেন মমতা।

পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সমালোচনায় হাতিয়ার করেন প্ল্যানিং কমিশন বাতিলের সিদ্ধান্তকেও। তিনি বলেন, কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা নেতাজিরই পরিকল্পনা ছিল প্ল্যানিং কমিশন। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্ল্যানিং কমিশনকেই বাতিল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নেতা কেমন হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কেও নিজের মতামত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘নেতাজিকে দেশনেতা, দেশপ্রেমিক বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাই যাঁরা দেশের নেতা হন, তাঁদের কোনও সার্টিফিকেট লাগে না। কারও কাছ থেকে তার জন্য সার্টিফিকেট নিতে হয়ও না। দেশের নেতা কেমন হওয়া উচিত? নেতাজির মতো হওয়া উচিত। গান্ধিজির মতো হওয়া উচিত। আম্বেদকরের মতো হওয়া উচিত। সূর্য সেনের মতো হওয়া উচিত।’ এর পাশাপাশি তিনি এদিন জানিয়েছেন, ‘স্বাধীন ভারতের ইতিহাসকে বিকৃত না করে, সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। সমালোচক বন্ধু থাকবেন না, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। রাস্তা দিয়ে গেলে মানুষ অভিযোগ জানাবে একে বিক্ষোভ বলবেন না। আজ দেশ বড় অসহায়, কোনওরকমে বাংলাকে সামলাচ্ছি। আমরা আন্দোলন করে উঠে এসেছি, তাই ভয় পাই না। অনেকে এজেন্সির ভয়ে পালিয়ে যায়। একটাই অনুরোধ দেশটাকে অন্তত বিক্রি করবেন না।’