এই মুহূর্তে জেলা

চার ঘন্টার প্রশাসনিক বৈঠকেও বেরোলো না সমাধান সূত্র, জটে ধনিয়াখালির আলু সমস্যা।

সুদীপ দাস, ২৬ নভেম্বর:- ধনিয়াখালির বলাকা কোল্ড স্টোরেজে আলুনষ্ট হওয়ার ঘটনায় আজ হুগলীর জেলাশাসক দপ্তরে এক প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজিত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকেও মিলল না কোন সমাধান সূত্র। প্রসঙ্গত ধনিয়াখালির বলাকা কোল্ডস্টোরেজে ৫৪হাজার বস্তা আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। সেই ঘটনায় বিগত একমাস ধরে জটিলের পর জটিল হতে শুরু করেছে। চাষিরা ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ব্লক স্তরে বৈঠক ডেকে বড় আলুর দাম বাবদ ৫০০টাকা বস্তা এবং ছোট আলুর ক্ষেত্রে ‍১৫০টাকা বস্তা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। অভিযোগ বন্ড নেওয়া চাষীদের সেই টাকা দেওয়া হয়নি। এরপরই দিন দুয়েক আগে বলাকা হিমঘরে তালা লাগিয়ে দেয় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা। যার জেরে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন হুগলীর জেলাশাসক।

সেইমত শনিবার হুগলীর জেলাশাসক দপ্তরে ত্রিপাক্ষিক স্তরে প্রায় ৪ঘন্টার বৈঠকেও সমাধান সূত্র বের হল না। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলীর জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি, ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র সহ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি, চাষীভাইদের প্রতিনিধি ও হিমঘর সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১১টা থেকে টানা চার ঘন্টা রূদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। চাষিভাইদের পক্ষে হাসমত আলি বলেন এদিনের বৈঠকে আমাদের কোনরকম সুরাহাই হল না। অন্যদিকে বলাকা হিমঘরের পক্ষে নিখিল সিংহ রায় বলেন হিমঘরে আলু নষ্ট হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যা করা উচিত এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। যদিও এদিন বৈঠক শেষে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন আজকের বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যে আর একবার বৈঠক হলেই সমস্যার সমাধান হবে।