এই মুহূর্তে কলকাতা

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর ।

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর:- দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত জনগণের জন্য জনগণের শাসনের পরিবর্তে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এজেন্সির শাসন চালাচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন।কেন ধর্ম, সম্প্রদায় রাজনীতির ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা হবে তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। বিধানসভায় আজ সংবিধান দিবসের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক ওই দিনের স্মরণে গৃহীত একটি সরকারি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তোলেন।এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী বিধায়কেরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী ও সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, শিক্ষা ও আমলা তন্ত্রের রাজনীতি করণ, বিরোধীদের মর্যাদা না দেওয়ার অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে।

কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিরোধী দলনেতার বাবা শিশির অধিকারীর প্রতি ব্যাক্তিগত শ্রদ্ধার কথা তিনি অনুরোধ করেন। বিরোধী বিধায়কদের সরকার যথেষ্ট সম্মান করেন বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন। রাজ্য বিধানসভার ৪১ টি স্থায়ী কমিটি র মধ্যে ৯ টির সভাপতি পদ বিরোধীদের দেওয়া হয়েছে । অথচ সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়া সত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসকে একটিও আসন দেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। বাণিজ্য সম্মেলনে, চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের আমন্ত্রন জানান। এর আগে প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সূচনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তিনি বলেন, যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিজস্ব দায়িত্ব আছে। তবে সংবিধানে মানুষের জন্য মানুষের শাসনের কথা বলা হচ্ছে

কিন্তু তা বেশিরভাগ সময়েই পার্টির জন্য পার্টির শাসনে পরিণত হচ্ছে। নির্বাচনে মানুষের মত প্রতিফলনের কোনও সুযোগ থাকেনা। বিরোধী দলকে প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় বিরোধী বিধায়কদের ডাকা হয় না। পুরসভা থেকে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দীর্ঘদিন বকেয়া থাকছে। স্বশাসিত সংস্থা গুলিতেও স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে না। বিরোধী দলনেতা বলেন,আমলা তন্ত্রের নিয়োগ ও পদোন্নতি তে স্বচ্ছ নীতি রাখা দরকার। বিচার বিভাগে যাতে কোনও ভাবেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয় তা নিশ্চিত করার ওপর তিনি জোর দেন। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়ার স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এর পর একে একে মনোজ টিগ্গা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, নৌসাদ সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।