এই মুহূর্তে জেলা

হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ মিলল হাসপাতালেই।

সুদীপ দাস, ১৮ নভেম্বর:- হাতে পায়ে দগদগে ঘা নিয়ে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ অসুস্থ ব্যাক্তির খোঁজ মিললো হাসপাতালেই।প্রসঙ্গত মাস দুয়েক আগে চুঁচুড়া আরোগ্যর সদস্যরা চুঁচুড়া আদালত চত্বর থেকে অসুস্থ এক ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করান।তখনই সেই ব্যাক্তির শরীরে বাসা বেঁধেছিলো পোকার দল।প্রায় নিঃসার অজ্ঞাত পরিচয় সেই ব্যাক্তি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলো। অন্যদিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের বাইরে এক অসুস্থ বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখেন হাসপাতালে আগত বহু মানুষ। রীতি মতো অবহেলিত ওই অসহায় মানুষটির কথা চুঁচুড়া আরোগ্যকে জানানো হলে আরোগ্যর সদস্যরা উপস্থিত হন হাসপাতালে। আরোগ্যর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে দেখেন অসুস্থ ব্যাক্তির শরীর ছেয়ে ফেলেছে পোকার দল। শুধু তাইই নয় পোকার দল অসুস্থ ওই ব্যাক্তির হাতের কবজির মাংস খুবলে খেয়ে নিয়েছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনেই অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে এদিন পরিস্কার ও শুশ্রূসা করেন আরোগ্যর সদস্যরা।

এরপর আরোগ্যর পৃষ্ঠপোষক ইন্দ্রজিৎ দত্ত হাসপাতালে উপস্থিত হলে ওই অসুস্থ ব্যাক্তিকে দেখে বুঝতে পারেন যে দু মাস আগের সেই ব্যাক্তিই এই ব্যাক্তি। এরপরই খবর যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। খবর পেয়ে হাসপাতালের অ্যাসিস্টেন্ট সুপার মৃন্ময় চক্রবর্তী এসে ওই ব্যাক্তিকে দেখে সমস্ত কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন ওই ব্যাক্তির দেহে পোকার সংক্রমণ এতো বেড়ে গিয়েছিলো যে তাকে হাসপাতালে অন্য রোগীদের সাথে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দায় রেখে তার চিকিৎসা চলছিলো। কিন্তু রাতের অন্ধকারে পা ঘসটে ঘসটে ওই ব্যাক্তি সকলের নজর এড়িয়ে বেরিয়ে যান৷ তারপর আর তার খোঁজ মেলেনি। অন্যদিকে একথার পরিপ্রেক্ষিতে আরোগ্যর পৃষ্ঠপোষক তথা হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার জনপ্রতিনিধি ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন ওই ব্যাক্তি এতটাই অসুস্থ যে তার হাতের কবজির মাংস পোকায় খেয়ে ফেলেছে তবুও মুখে যন্ত্রনার কোনো কাতরোক্তি করার ক্ষমতা নেই। তবে সেই ব্যাক্তি কী করে নিজে বেরিয়ে যেতে পারেন?তবে এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গাফিলতিকেই এদিন এই ধরনের ঘটনার কারন হিসাবেই জানান। তবে কি হাসপাতালে থাকা রোগীরা আদৌ সুরক্ষিত?উঠছে এমনই প্রশ্ন।