এই মুহূর্তে জেলা

‘আলকায়দা’র সঙ্গে যোগ ? উদ্ধার চিনা গ্রেনেড ও অস্ত্রশস্ত্র, হাওড়ার যুবক গ্রেফতারে হতবাক ধৃতের পরিবার।

হাওড়া, ৮ নভেম্বর:- গত কয়েক বছর থেকে কাশ্মীরেই নিজের পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। শেষবার হাওড়ায় গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন ঈদের সময়। গত কয়েক মাস আগে সেখানে বিবাহ করেছেন। কাশ্মীরে জামা কাপড়ের ব্যবসা এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতার কাজ করতেন। অভিযোগ, তার আড়ালে আসলে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজকর্ম করতেন কাশ্মীর পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ ধৃত আমিরউদ্দিন খান।এমনটাই দাবি করেছে কাশ্মীর পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করার পর অনেক তথ্য উঠে এসেছে কাশ্মীর পুলিশের হাতে। হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত মাশিলা পাঠানপাড়ায় গ্রামের বাড়ি আমিরুদ্দিনের।বর্তমানে কাশ্মীরে সস্ত্রীক বসবাস করেন তিনি। জঙ্গি গোষ্ঠী আলকায়দার সঙ্গে তার যোগ আছে এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

তার বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন এবং ইউএপিএ ধারায় পুলিশ মামলা শুরু করেছে। জানা গেছে, আমিরউদ্দিন খানকে সোমবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার থেকে উদ্ধার হয় চিনা গ্রেনেড এবং অস্ত্রশস্ত্র। আমিরউদ্দিনের গ্রেপ্তারের খবর আসে তার বাড়ি সাঁকরাইল এর মাশিলাতেও।গ্রামের বাদিন্দারা ও পরিবারের লোকজন হতবাক এই খবর পেয়ে। তারা বিশ্বাস করতে নারাজ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত সে। দাদা আজহারউদ্দিন খান জানান, তারা পাঁচ ভাই ও দুই বোন। আমিরুদ্দিন ছোট ভাই। সে অনেক বছর ধরে কাশ্মীরেই থাকে। এবছর ঈদের সময় সে শেষ বার বাড়িতে এসেছিল। গ্রামের বাদিন্দা বাবাই মীর জানান, তাদের গ্রামের গর্ব ছিল আমিরুদ্দিন। সে কোনওভাবে জঙ্গি কাজকর্মের সাথে যুক্ত থাকতে পারেনা।পরিবারের লোকজন ও গ্রামের বাসিন্দারা মনে করছেন চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে আমিরুদ্দিনকে।