তরুণ মুখোপাধ্যায়, ৩০ অক্টোবর:- সারা দেশের সঙ্গে হুগলি জেলাতেও মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে ছট উৎসব। এদিন হুগলির ত্রিবেণী থেকে উত্তরপাড়া, ডানকুনি থেকে আরামবাগ সর্বোত্তই দেখা গেছে হাজার হাজার ভক্তরা গঙ্গায় ও অন্যান্য জলাশয় এবং নদীতে গিয়ে সূর্য দেবতার বন্দনা করেছেন। এ দিন জেলার সবথেকে বড় সমাবেশ ছিল রিসরায়। এখানকার প্রত্যেকটি গঙ্গার ঘাট ছিল দুপুর থেকে ভক্তদের ভিড়। এই উপলক্ষে রিশরা পুরসভার পক্ষ থেকেও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। গত সাতদিন আগে থেকেই এখানকার ভাঙ্গা ঘাট, উড়িয়া ঘাট, লাহাঘাট বাঘখাল ঘাট হেস্টিং ঘাট সহ প্রত্যেকটি ঘাট গুলি মেরামতি করে সাফ সুরত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে ।এদিন বিকালে বিধায়ক ডাক্তার সুদীপ্ত রায় পুর প্রধান বিজয় সাগর মিস্র সহ পুর সদস্যরা লঞ্চে করে ঘাট গুলি পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে গঙ্গায় প্রশিক্ষিত সাঁতারুদের নিয়ে গঙ্গা জুড়ে লঞ্চ পরিক্রমা করেছে। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে পুর প্রধান বিজয় সাগর মিশ্র জানান আমাদের এই রিসরায় এখানকার হিন্দিভাষী মানুষরা তাদের প্রধান উৎসব উৎসব ছট পুজো অত্যন্ত শ্রদ্ধা সহকারে পালন করেন। যার জন্য আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে ভক্তরা এসে নিরাপদে পূজার্চনা করতে পারেন। এই ছট পুজো চারদিন ধরে চলে ভক্তরা দীর্ঘ হোক ছত্রিশ ঘন্টার উপবাসের মধ্য দিয়ে এই কঠিন ব্রত পালন করেন। এই পুজোর মূল উপাস্য হচ্ছেন সূর্যদেবতা। কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিন বিকাল অস্তমিত সূর্যকে বন্দনা করেন ভক্তরা এবং গঙ্গা বা জলাশয় দুধ নিবেদন করেন। পরদিন শুক্লা সপ্তমীর ভোরে উদীয়মান সূর্যকে পুজো করে ছট উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। পারিবারিক সুখসমৃদ্ধি এবং ছোটদের মঙ্গল কামনায় এই ব্রত পালন করা হয় এবং এই পুজোর সূর্য দেবতাকে নারকেল আখ অন্যান্য ফল মূল গুড় মিষ্টি এবং ঠেকুয়া নিবেদন করা হয়।