এই মুহূর্তে জেলা

রাসায়নিক সারে কালোবাজারির অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার মেজিয়ায়।

বাঁকুড়া , ২২ জুলাই:- বাঁকুড়ার মেজিয়ায় রাসায়নিক সার আধার কার্ড ছাড়াই মিলছে। রাসায়নিক সারের কালোবাজারির রমরমিয়ে চলছে বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। অভিযোগ হাতে পেয়ে কালোবাজারি রুখতে পুলিশ কে সাথে নিয়ে সারের দোকানগুলিতে হানা দিলেন ব্লক প্রশাসন ও কৃষি দপ্তরের আধিকারিক। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ মেজিয়া এলাকার সবকটি রাসায়নিক সারের দোকানে থেকে রাসায়নিক সার কিনতে গেলে বস্তায় লেখা ন্যায্য দামের থেকে বস্তা পিছু সারের এর উপর দিতে হচ্ছে বাড়তি ৭০ টাকা থেকে  ১২০ টাকা পর্যন্ত। অথচ কৃষকরা দোকানদারের কাছে বিল চাইলে মিলছে বস্তার উপরে লেখা সরকারি দামের বিল। এর পরই কৃষকরা বুঝতে পারেন কালোবাজারি চালাচ্ছে একচক্র। দোকানদারকে কৃষকরা চড়া দামের বিষয়ে প্রশ্ন করলে দোকানদারের তরফে মিলছে বাজে ব্যবহার। শুধুমাত্র এক দুটি দোকান নয় মেজিয়া এলাকায় প্রায়  সবকটি দোকানের একই ছবি।

ফলে ক্ষুদ্র চাষীরা বাধ্য হয়েই চড়া দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সকলেই। মৌখিকভাবে কৃষকদের সেই অভিযোগ পৌঁছায় স্থানীয় মেজিয়া ব্লক প্রশাসনে। মেজিয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ বন্দোপাধ্যায়  কৃষকদের সেই অভিযোগ পেয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার  ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মেজিয়ার যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নেতৃত্ব মেজিয়া ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা ও পুলিশ কে সাথে নিয়ে কৃষকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে  সারের দোকান গুলিতে হানা দিলেন তারা। কথা বললেন সারের দোকান মালিক গুলির সঙ্গে।কৃষকদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে  দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রশাসনের। যদিও কালোবাজারির কথা অস্বীকার করেছে রাসায়নিক সারের দোকান মালিকরা।