কলকাতা, ২৯ অক্টোবর:- আবার স্কচ পুরস্কারে ভূষিত হল রাজ্যের দুই দফতর। কোভিড কালে নিদারুণ আর্থিক সংকটে জেরবার আম আদমীর হাতে নগদের যোগান বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তাবর অর্থনীতিবিদেরা। সেই সময় রাজ্যের রোজগারহীন গৃহবধূদের হাতে নগদ অর্থের যোগান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প নতুন নজির তৈরি করে গোটা দেশে। এবার সেই অভিনব প্রকল্পের স্বীকৃতি মিলল নতুন ভাবে। নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে ‘স্কচ’ পুরস্কার জিতেছে রাজ্য সরকারের অন্যতম ফ্লাগ শিপ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই টুইট করে এই খবর জানিয়েছেন।একই সঙ্গে এবার স্কচ পুরস্কার পেল রাজ্যের পুরো ও নগরোন্নয়ন দফতর। অনলাইনে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। ওই প্রকল্পের স্বীকৃতিতেই এবার স্কচ পুরস্কার এলো রাজ্যের ঝুলিতে। প্রকল্প পুরস্কৃত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ‘‘নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে স্কচ পুরস্কার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার। আমি গর্বিত। নারীদের ক্ষমতায়নকে আমরা বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়েছি।
এই পুরস্কার শুধু সরকারেরই স্বীকৃতি নয়, পশ্চিমবঙ্গের ১.৮ কোটি মহিলারও স্বীকৃতি।’’ ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে ইস্তাহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মেনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পটি চালু করেছিল তৃণমূল সরকার। যে মহিলাদের নিজের রোজগার নেই, অথবা হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর দিনের শেষে সামান্য কিছু জোটে যাঁদের, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের হাতে পাঁচশো টাকা তুলে দেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গত, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি এবং সামাজিক ক্ষেত্রে উৎকর্ষের জন্য প্রতি বছরই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে পুরস্কৃত করে দেশের অন্যতম থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা ‘স্কচ গ্রুপ’। আগেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে তারা। চলতি বছরেই শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘স্কচ’ পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য সরকার। ‘স্কচ স্টেট অফ গভর্নেন্স রিপোর্ট, ২০২১’ এই বিভাগে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রথম স্থান অধিকার করার জন্য এই সম্মান পেয়েছে রাজ্য। এ ছাড়াও পর্যটন দফতর পেয়েছে ‘স্কচ গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ডস’।