এই মুহূর্তে জেলা

আগামীকাল থেকে একাদশী পর্যন্ত দিনে ১৬ঘন্টা নো-এন্ট্রি চন্দননগরে।

সুদীপ দাস, ২৮ অক্টোবর:- চন্দননগরের ঐতিহ্যমন্ডিত জগদ্ধাত্রী পুজোকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিদিন দুপুর দু’টো থেকে পরের দিন ভোর ছ’টা পর্যন্ত চন্দননগরে সমস্ত রকম যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। আগামীকাল থেকে একাদশীর দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। শুক্রবার চন্দননগর থানার সামনে গঙ্গাপাড়ে আয়োজিত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদেরকে একথা জানিয়ে দেন পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগি। এদিন গাইড ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে কিছুক্ষনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্থানীয় বিধায়ক তথা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হুগলীর জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি, পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগি সহ পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা।

গাইড ম্যাপ প্রকাশের পরই দুই মন্ত্রী প্রস্থান করেন। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কমিশনার বলেন চলতি বছর চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি অনুমোদিত পুজোর সংখ্যা ১৭৬টি। কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির আওতাধীন নয় এমন ২৬টি বারোয়ারি রয়েছে। আর বাড়ির পুজো ধরলে সংখ্যা ৩৫০পার হবে। এবারও চন্দননগরে থাকবে পুলিশের অ্যান্টি ক্রাইম টিম। ৫০০-র বেশি সিসিটিভি এবং ৮থেকে ১০টি ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হবে। পুজোর দিনগুলিতে চন্দননগরে গত বছরের তুলনায় ২৫শতাংশ বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০০-র বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। চন্দননগরে ঢোকার মুখে এবছর পুলিশের উদ্যোগে বেশকিছু পার্কিং লট থাকবে। পাশাপাশি মোট ৪৪টি জায়গাকে নো-এন্ট্রি জোন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই প্রথমবার পুজোর দিনগুলিতে জিটি রোডে ২৪ঘন্টাই অটো-টোটো চলার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।