এই মুহূর্তে জেলা

স্কুলে সরকারি নীল-সাদা পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই ইংলিশ মিডিয়ামে নিয়ে যাওয়ার হুমকি তৃণমূল বিধায়কের।

সুদীপ দাস, ১৫ অক্টোবর:- সরকারি নীল-সাদা পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই মেজাজ হারালেন বিধায়ক। অভিভাবকের দিকে আঙুল উঁচিয়ে মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে নিয়ে যাওয়ার হুমকি বিধায়কের। ঘটনায় হতবাক সেখানে উপস্থিত প্রায় পাঁচশো অভিভাবক হতবাক। আজ অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী গার্লস হাই স্কুলে। সরকার পক্ষের বিধায়কের নাম অসিত মজুমদার। এই বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটিতে রয়েছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। ম্যানেজিং কমিটিতে আসার পরই বিদ্যালয় নিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনতে অভিভাবকদের মুখোমুখি হন বিধায়ক। শনিবার “মুখোমুখি বিধায়ক” নামক সেই অনুষ্ঠানই আয়োজিত হয় বিদ্যালয়ে। যেখানে একের পর এক অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের বাথরুম, মিড-ডে-মিল প্রভৃতি নিয়ে বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানান। সেসময়ই ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রীর মা সোমা ঘোষ সরকারি নীল-সাদা ইউনিফর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন বিদ্যালয়ের পুরনো পোশাকই ফিরিয়ে আনা হোক। এরপরই মেজাজ হারান বিধায়ক। মঞ্চে মাইক হাতে ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে বলেন কে মাথার দিব্যি দিয়েছে তোমাকে।

অভিভাবকের দিকে আঙুল উচিয়ে বিধায়ক বলেন তোমার না পোশালে নিয়ে যাও ইংলিশ মিডিয়ামে, সরকারের আইন-কানুন মানতে হবে। মহিলা পুনরায় কিছু বলতে চাইলে বিধায়ক বলতে থাকেন আপনি বড় বিপ্লবী আমি বুঝে গেছি। আপনি বড় বিপ্লবী আমি বুঝে গেছি, আপনি বসুন। এরপর ওই মহিলা হকচকিয়ে গিয়ে বসে পরেন। ঘটনার পর অন্যান্য অভিভাবকরাও মহিলার পাশে দাঁড়ান। তবে সকলের সামনে অপমানিত বোধ কান্নায় ভেঙে পরেন মহিলা। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সোমা ঘোষ বলেন পোশাকের রং নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই, আমার আপত্তি পোশাকের গুনগত মান নিয়ে। নতুন নীল-সাদা পোশাক অত্যন্ত পাতলা। একটু স্বাস্থ্যবান মহিলাদের গায়ে হচ্ছে না। আমি সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিধায়ক আমার কথাই শুনতে চাইলেন না। যদিও এদিন বিধায়ক বলেন ওই মহিলা পরে আমাকে বলেছেন যে ওনার পোশাকের রং নিয়ে কোন আপত্তি নেই। গুনগত মান নিয়েই আপত্তি। আমি সেটা দেখছি। কিন্তু ওই মহিলা যে কাঁদছিলেন এ কথা শুনেই বিধায়ক সাহেব পুনরায় হয়তো মেজাজ হারালেন। বিধায়ক আবারও বলেন উনি যদি নাটক করেন তাহলে আমার কিছু করার নেই। সরকারি স্কুলে পড়াতে গেলে সরকারি নিয়ম-নীতি মানতে হবে, না হলে অনেক পাবলিক সেক্টর আছে সেখানে যেতে পারেন।