কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর:- সিবিআই ইডি মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ম কোনও দুর্নীতির তদন্ত করলে তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কোন আপত্তি নেই বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন। তবে নিয়ম মেনে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার জন্য তিনি ওইসব সংস্থার কাছে দাবি জানান। রাজ্য বিধানসভায় আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুল ির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরকারপক্ষের আনা এক নিন্দা প্রস্তাব এর ওপর আলোচনা শেষে জবাবি ভাষণে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে সরব হন। সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারি, নারদ স্ট্রিং অপারেশনের মত মামলায় অনেক বিরোধী সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কেন শুধুমাত্র শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের ঘিরে তদন্ত করা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সভায় দাবি করেন কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশে কাজ করতে গিয়ে এই এজেন্সি গুলির দক্ষতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাই তাদের সাফল্যের হার ও খুবই কম। রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, নিতাই নন্দীগ্রাম মামলায় এখনো কোনো কিনারা হয়নি। সিবিআই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্যের বিজেপির নেতাদের একাংশের অঙ্গুলী হেলনে কাজ করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন। রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেওয়া হচ্ছে। একজন মহিলাকে রাত বারোটায় জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে বলেও তাঁর অভিযোগ। এর আগে প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী বলেন এই প্রস্তাব আনা শুধুমাত্র সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু না। এতে সিবিআই ইডির তদন্তে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না। চোর ধরো জেল ভরো অভিযান এরকম ভাবেই চলবে। তিনি বলেন,কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই কে বিরোধীদের দমনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এটা বলা ঠিক নয়। এরা যে ১৫ টি মামলায় আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে এ নিয়ে আপত্তি থাকলে সরকারপক্ষের উচিত সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়া। আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ১৮৯ এবংবিপক্ষে ৬৪ টি ভোট পড়ে। এআইএসএফের একমাত্র সদস্য নওশাদ সিদ্দিকি আলোচনায় অংশ নিলেও ভোট দানে বিরত ছিলেন।