হাওড়া, ১০ সেপ্টেম্বর:- হাওড়ায় মঙ্গলাহাটের দিন কেন নবান্ন অভিযান ? পুজোর আগে তো থেকেই গেল ক্ষতির সম্ভাবনা! বিজেপি জেলা নেতৃত্বের সাফাই, রাজ্যের অরাজকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে একটা দিন সহযোগিতা করুন। পুজোর মুখে সবে জমে উঠতে শুরু করেছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মঙ্গলাহাট। পুজোর আগে শেষ তিনটি হাটের প্রথম হাট পড়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। আর সেদিনই নবান্ন অভিযানের দিন ধার্য্য হয়েছে। ফলে সারা বাংলা থেকে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা হাওড়ায় এসে জমায়েত হবেন। বিজেপির মূল তিনটি মিছিলের একটি মিছিল রওনা হবে হাওড়া ময়দান থেকে। ওই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বয়ং। আর তা নিয়েই মঙ্গলাহাট ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার হাওড়া সদর বিজেপির কার্য্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা। আর তার উত্তরে দলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, “হাটের অসুবিধা না করেই আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করব।
হাটের ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের অনুরোধ একটা দিন আমাদের সহযোগিতা সাহায্য করুন। হাটের ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষের অসুবিধা হোক এটা আমরা চাইব না। আমাদের অনুরোধ পশ্চিমবঙ্গের এই অরাজকতার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলনে আমাদের সাহায্য করুন। সহযোগিতা করুন। তা সত্ত্বেও আমরা এই নিয়ে পার্টির উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।” উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযান শুরু হবে তিনটি পয়েন্ট থেকে। দলের তিন শীর্ষ নেতাকে এই তিন জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার সাঁতরাগাছির দায়িত্বে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং কলকাতায় কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ ঘোষ এবং এরাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। যারা বাইরে থেকে আসবেন তাদের হাওড়ার কয়েকটি অতিথি আবাসে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।