কলকাতা, ৭ সেপ্টেম্বর:- রাজ্য সরকারের যে কোনও পদে নিয়োগ হোক বা জনসাধারণের অভাব অভিযোগের নিষ্পত্তি। এবার নিজের দফতরের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়ের ওপর কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চালাবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার নবান্নে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে এই বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও ক্ষেত্রেই যাতে বিন্দুমাত্র অনিয়মের লেশ না থাকে তা দেখতেই এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনিক মহলের অভিমত। এই বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কেউ কিছু জানাননি। কিন্তু নবান্ন সূত্রে খবর এদিন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের প্রথম দিকেই জানিয়ে দেন এখন থেকে বিভিন্ন দফতরে যে কোনও ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রেই তাঁর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে অন্ধকারে রেখে স্থায়ী বা অস্থায়ী এমনকি ঠিকা চুক্তিতেও লোক নিয়োগ করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, অনেক দফতর নিজেদের মতো করে লোক নিয়োগ করে। এরফলে দুটি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সরকারের অজান্তে বেতন খাতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অনেক সময় ঠিকা ও ক্যাজুয়াল কর্মীরা পাকা চাকরির দাবি নিয়ে আদালতে চলে যাচ্ছে।
এইভাবে লোক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে দফতরের নিয়োগ কমিটিকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা সুপারিশ পাঠাবে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে। প্রস্তাবে উল্লেখ করতে হবে কেন লোক নিয়োগ অবশ্যম্ভাবী। সরকারের কাজ কর্ম নিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের নিষ্পত্তিতে এবার নিজের দফতরকে আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সচিবালয় থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত—কোনও অভিযোগই যেন ফাইল চাপা হয়ে পড়ে না থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে কোনও অভিযোগ এলে সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। একই ভাবে পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদ স্তরে কোনও অভিযোগ এলে তা সময়ের মধ্যে সমাধান করতে হবে। সম্প্রতি শিক্ষারত্ন প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, সরকারে থাকলে কাজে ভুল হবেই৷ কারণ নিচুতলার কেউ চুরি করে এসে তার দায় এসে পড়ে সরকারের উপরে৷ আর চোরকে ধরতে ধরতে সে পালিয়ে যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের নির্দেশে এই মনোভাবের প্রতিফলন দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।