সুদীপ দাস, ৭ সেপ্টেম্বর:- চুঁচুড়ার ঘিঞ্জি শহরের মধ্যে একটু খোলা অক্সিজেন নেওয়ার জায়গা মাঠের ধার। চুঁচুড়ার ভিভিআইপি জোনের মধ্যেই রয়েছে তিন তিনটি বড় মাঠ। গঙ্গার তীরবর্তী এই এলাকাতেই বলা হয় শহরের ময়দান চত্বর। যেই এলাকা সাধারণ মানুষের খোলা অক্সিজেন নেওয়ার জায়গা। একদিকে মাঠে খেলাধুলা, অন্যদিকে মাঠের লাগোয়া রাস্তার পাশের ফুটপাতে তৈরী বসার জায়গায় কখনও বিশ্রাম নেওয়া আবার কখনও বয়স্কদের একটু শরীরচর্চা। এককথায় প্রানের শহর চুঁচুড়ার প্রাণকেন্দ্র বলতে এই ময়দান চত্ত্বর। উন্নয়নের নামে সেই খোলা মাঠ বেশ কয়েকবছর আগেই ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
তাই মাঠে অবাধ প্রবেশ এখন বন্ধ। সেজন্য মাঠ লাগোয়া এই ফুটপাতই প্রাতঃভ্রমন কিংবা সারাদিনের সময় কাটানোর জায়গা হয়ে উঠেছিল সাধারন মানুষের কাছে। কিন্তু সেই ফুটপাতই বর্তমানে ব্যবসায়ীদের দখলে। কথা ছিল এখানে ঠেলা গাড়িতে সাময়িক ব্যবসা করে ব্যবসা শেষে আবার গাড়ি নিয়ে চলে যাবে। ঠেলা গাড়ি অবশ্যই আছে। কিন্তু সেই গাড়ি আর যেন ঠেলা দিলে সরে না। সেই গাড়ি গুলিকে ঘিরে যে যার মত জায়গা ঘিরে ফেলেছে। সেখানে বসেই নব প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা দেদার গুটখা, পান, বিড়ি, সিগারেটে টান দিচ্ছে।
অস্থায়ী চায়ের দোকানগুলি এখন স্থায়ী হয়ে উঠেছে। দোকানের আবর্জনা পরছে মাঠে, পরছে সুদৃশ্য গাছের গোড়ায়। বছর কয়েক আগের প্রাণকেন্দ্রই এখন সমাজ সচেতন নাগরিকদের প্রান ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। সকলকেই বলছেন এক জোর যার মুলুক তার অবস্থা। যে যেমন পারছে দখল করে নিচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন অরাজকতা চলছে। শহরের পৌরপ্রধান অমিত রায় অবশ্য গোটা ঘটনার কথাই স্বীকার করে নিচ্ছেন। তিনি বলছেন অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।