এই মুহূর্তে জেলা

দুর্গাপুজোকে কাজে লাগানো হবে হাম ও রুবেলা ভ্যাকসিনের(এম আর ভি সি) প্রচারে।

হুগলি, ৩ সেপ্টেম্বর:- করোনা অতিমারির কারনে দু বছর হাম ও রুবেলা ভাইরাসের ভ্যাকসিন অনিয়মিত হয়েছিল। সম্প্রতি ঝারখন্ড বাংলা বর্ডার এলাকায় কয়েকটি রুবেলা ভাইরাসের কেস সামনে আসে।হাম রুবেলা ভাইরাস নিয়ে তাই নতুন করে ভাবনা শুরু হয়। হুগলি জেলা শাসকের দপ্তরে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারীক ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারীক দের নিয়ে বৈঠক হয় ।হুগলি জেলায় নয় মাস থেকে পনের বছর বয়সী ১১ লাখ ৮ হাজার শিশু কিশোরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে ২ কোটি ৩৩ লাখ।আগামী ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। হুগলির ডেপুটি সিএমওএইচ-২ বলেন,প্রতি বছর দেশে হামে আক্রান্ত হয় অনেকে। হাম ও রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া ,নিউমোনিয়া হতে পারে, গর্ভবতী মায়েদের নানা সমস্যা হতে পারে।

ভবিষ্যতে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা থেকে বিকলাঙ্গ শিশু জন্মানো এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। বধিরতা দেখা দিতে পারে ।৯০ শতাংশ ছোঁয়াচে এই ভাইরাস। তাই মিজেলস ও রুবেলা ভ্যাকসিন নিতে হবে। আমরা প্রশানসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচার শুরু করছি এম আর ভি সি নেওয়ার জন্য।কারন যে কোনো ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে নানা প্রশ্ন থাকে মানুষের। ভ্যাকসিন শুরু করার আগে তাই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রচার চলবে। হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সামনেই উৎসবের মরসুম। দুর্গাপুজো কালীপুজো জগদ্ধাত্রী পুজো পর পর আসবে। এই উৎসবের সময় বহু মানুষ তারা রাস্তায় বেরোবেন তাই আমরা চাইছি পুজো মণ্ডপ গুলো থেকে প্রচার করতে। ব্যানার পোস্টার দিয়ে চলবে প্রচার পাশাপাশি মাইকিং করা হবে।

সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল গুলোকেও আমরা সঙ্গে নিচ্ছি। কারণ যে বয়সীদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তারা অধিকাংশই স্কুলে পড়ে। সরকারি বেসরকারি স্কুল বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ক্যাম্প করে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যারা স্কুলে পড়ে না ইটভাঁটার শ্রমিক পরিবারের সদস্য বা স্কুলছুট তাদেরকেও এই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। করোনার জন্য হাম রুবেলার ভ্যাকসিন অনিয়মিত হয়ে পড়ায় কিছুটা হলেও চিন্তা বেড়েছে তাই এই স্পেশাল ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প চলবে পাঁচ সপ্তাহ ধরে। হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া বলেন, এম আর ভি সি ভ্যাকসিন নিলে ভয়ের কিছু নেই। ক্যাম্পে গিয়ে নির্দিষ্ট বয়সী শিশু কিশোরদের এই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সব দপ্তরকে কাজে লাগানো হবে।