হুগলি, ১৬ আগস্ট:- প্রয়াত হলেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল। মঙ্গলবার কলকাতার এ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গত মাস ছয়েক ধরে বার্ধক্য জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। বাড়ি থেকেই চিকিৎসা চলছিল। সোমবার রাতে অসুস্থতা বাড়ে। স্নায়ূ রোগে আক্রান্ত হন।ভোর রাতে তাঁকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় এ্যাপোলো হাসপাতালে। সারে এগারোটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৫৮ সালে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। পরে সিপিএমআই জেলা কমিটির সদস্য থাকার পাশাপাশি জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। সি আই টি ইউ সংগঠনের জেলা সহ সভাপতি থাকার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে মগড়া বাগাটি শ্রী গোপাল ব্যানার্জি কলেজ এবং পরে নৈহাটি ঋষি বঙ্কিম কলেজে বাংলায় অধ্যাপনা করেছেন।
পরবর্তী সময়ে অধ্যাপনা ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হন। সপ্তম লোকসভা নির্বাচনে ১৯৮০ সালে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৮৪ সালে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দুমতি ভট্টাচার্য্যর কাছে পরাজিত হন। পরবর্তী নির্বাচন গুলো ১৯৮৯ থেকে ২০০৪ টানা ছয় মোট সাত বার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না দে নাগের কাছে পরাজিত হন।তারপর আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি। আজীবন কমিউনিস্ট পার্টি সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন অকৃতদার রূপচাঁদ পাল। চুঁচুড়া বড়াল গোলিতে তার বাড়ি। সাংসদ থাকা কালীন হুগলির আরেক সিপিআইএম এর দাপুটে নেতা তথা আরামবাগ সাংসদ অনিল বসুর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব নিয়ে অনেক চর্চা ছিল রাজনৈতিক মহলে।দল বিরোধী কাজের জন্য অনিল বসুকে বহিষ্কার করেছিল সিপিআইএম। পরে ২০১৮ সালে তার মৃত্যু হয়। অনিল রূপচাঁদ দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটে।