কলকাতা, ৭ আগস্ট:- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে হয়রানি এড়াতে রাজ্য সরকার পরামর্শদাতা নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক সুতীর্থ ভট্টাচার্যকে এই পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে জেলা ও রাজ্যের নজরদারি কমিটির। চলবে সারপ্রাইজ ভিজিট। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাসপাতাল সুপারদের সঙ্গে। অন্যদিকে মুখ্যসচিবের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে তাঁর। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখবেন। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণ না করলে জরিমানার পাশাপাশি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। রোগী হয়রানি রুখতেই এই নয়া উদ্যোগ। এক শ্রেণির আখের গোছানো, দায়িত্ব নিতে না চেয়ে রেফার করা- প্রভৃতি অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের। লক্ষ্য, সমস্যার দ্রুত সমাধান।
নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বৈঠক করেছিলেন জেলাশাসকদের সঙ্গে। সেখানেই নির্দেশ, এবার বেনিয়ম চোখে পড়লে শুধু জরিমানা নয়, নিতে হবে কড়া পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৫ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চলছে সিআইডি তদন্ত। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে বেনিয়ম হলে বাতিল হতে পারে নার্সিংহোমের লাইসেন্স।তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে জেলা ও রাজ্যের নজরদারি কমিটির। চলবে সারপ্রাইজ ভিজিট। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাসপাতাল সুপারদের সঙ্গে। অন্যদিকে মুখ্যসচিবের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে তাঁর। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখবেন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী। রোগী ও তাঁদের পরিবারের হয়রানি আটকাতে বিশেষ নজর দিয়েছে নবান্ন । ইতিমধ্যেই রাজ্যে গঠন করা হয়েছে বিশেষ নজরদারি কমিটি। জেলায় জেলায় গঠন করা হয়েছে নজরদারি কমিটি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভায়া বিমা সংস্থা নয়, সরকার সরাসরি স্বাস্থ্যসাথীর টাকা দেবে হাসপাতালকে। এরপর আরও একধাপ এগিয়ে আরও একটি মানবিক উদ্যোগ নিল রাজ্য।