এই মুহূর্তে জেলা

প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশার “আশ্রয়” পুলিশ।

সুদীপ দাস, ২৯ জুলাই:- ঘড়ির কাটায় তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। চুঁচুড়া পিপুলপাতি মোড়ে কয়েকশো আশা কর্মীদের জমায়েত। ১৫দফা দাবী নিয়ে সেখান থেকেই মিছিল করে তাঁদের জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে যাওয়ার কথা। পিপুলপাতির ট্রাফিক অফিসে তখন পুলিশের রক্তদান কর্মসুচি শুরু হতে চলেছে। মঞ্চে উপস্থিত চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগি, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া, ডিসি(সদর) নিধিরানী, এডিসিপি(ট্রাফিক) পিনাকী রঞ্জন দাস সহ পুলিশ আধিকারিকরা। হঠাৎ করেই শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। পিপুলপাতি মোড়ে জমায়েত থাকা আশা কর্মীরা তখন ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন। আশেপাশের দোকান-পাটে তখন একটু মাথা গোঁজার জন্য তোরজোর শুরু হয়ে যায়। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে তখন ভয়ঙ্কর বজ্রপাত চলছে। কথায় আছে পুলিশের নজর এড়ানো বড় দায়। আইপিএস অমিত প্রসাদ সাহেবের নজর এড়ায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশা কর্মীদের ট্রাফিক অফিসের ভিতরে নির্দ্বিধায় আশ্রয় নিওয়ার কথা মাইকে ঘোষনা করেন।

তিনি বলেন আমি ভেবেছিলাম আশা কর্মীরা এই রক্তদানের অনুষ্ঠানে এসেছেন। পরে শুনলাম আপনারা ডেপুটেশন দিতে এসেছেন। তবে কোন অসুবিধা নেই আপনারা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে এদিকে আসুন। এদিন রক্তদানের জন্য তৈরী প্যান্ডেলে আশ্রয় নেন আশা কর্মীরা। কেউ কেউ পুলিশের সাথেই খোশমেজাজে গল্প জুড়ে দেন। পুলিশ কর্মীরাও এদিন আশা কর্মীদের চা-বিস্কুট খাইয়ে আপ্যায়ন করেন। আন্দোলনের সময় সরকার পক্ষের ঢাল হয়ে দাঁড়ানো পুলিশ কর্মীরা আজ তাঁদের ঢাল হলেন। বেজায় খুশি আশা কর্মীরা। পান্ডুয়ার দুই আশা কর্মী রচনা ঘোষ ও তনুশ্রী সুর বলেন পুলিশ কর্মীদের ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না। আমরা চাই পুলিশ যেন এভাবেই সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বৃষ্টি থামতেই নিজেদের কর্মসূচীর দিকে রওনা দেন আশা কর্মীরা। যেতে যেতে অনেকেই তখন বলছেন পুলিশ আজ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সময় থাকলে আজ এখানে রক্ত দিয়ে যেতাম।