হাওড়া, ২৪ জুলাই:- প্রায় মাসখানেক আগে বোনকে নিয়ে হাওড়ার ডোমজুড়ের মাসির বাড়িতে এসেছিলেন অর্পিতা। এই বিলাসবহুল জীবনযাপন বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বোনঝির ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না দাবি মাসির। হাওড়ার ডোমজুড়ে মাসির বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আনাগোনা ছিল অর্পিতার। বছরে ২-৩ বার আসতেন তিনি৷ মাসতুতো ভাইকেও চাকরি করে দিয়েছিলেন বলে এলাকা সূত্রের খবর। এখন রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে উঠে এসেছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি ইস্যু। পাশাপাশি, একইসঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ইডির হানায় কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ডোমজুড়ের লক্ষ্মণপুরের মাসির বাড়ি যেন আজ নিস্তব্ধ। অর্পিতা প্রসঙ্গে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুরো পরিবার। অর্পিতার মাসি স্মৃতি মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেই থাকেন তাঁর দাদু। তাই মাঝেমধ্যেই দাদুকে দেখতে আসতেন অর্পিতা। যদিও মাসির বাড়ির লোকজন তাঁকে সিরিয়াল, সিনেমার অভিনেত্রী এবং প্রতিষ্ঠিত মডেল হিসাবেই জানতেন বলে দাবি করেছেন এর বেশি কিছু নয়।
ফলে কোটি কোটি টাকা কীভাবে অর্পিতার কাছে এলো তা নিয়ে কার্যত তাঁরা জানেন না বলে দাবি করেছেন। মাসি স্মৃতিদেবী বলেন, মাসখানেক আগেও বোনকে নিয়ে এসেছিল দাদুকে দেখতে। অন্য কোনও বিষয়ে আমাদের কথা হত না। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মা বেলঘরিয়ায় থাকেন। আর ও নিজের ফ্ল্যাটে থাকত। এরপর কীভাবে তার কাছে টাকা এল বা তাকে ফাঁসানো হয়েছে কি না তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। আমাদের এখানে কোনোদিন প্রভাবশালী কাউকে নিয়ে আসেনি। এদিকে, এলাকাবাসীর দাবি অর্পিতার মাসতুতো ভাই মুকুল চাকরি পেয়েছিলেন অর্পিতার সুপারিশেই। প্রসঙ্গত, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হলেও মাসির বাড়ি ছিমছাম। আর পাঁচটা সাধারন মধ্যবিত্ত বাড়ির মতোই। একতলায় বাড়িতেই থাকেন দাদু দুর্গাপদ চক্রবর্তী। সাদাসিধা তাঁর মাসি ও মেসো নিজেও। দাদু কঠিন অসুখে ভুগছেন। ফলে সেই জন্যই দাদুকে প্রায়শই দেখতে আসত অর্পিতা এমনটাই জানা গেছে।