এই মুহূর্তে জেলা

ধোপেই টিকলো না ডানপন্থা , শতাধিক বছরের ব্যাঙ্কে বামেরাই অবিচল !

সুদীপ দাস, ৩ জুলাই:- চকবাজারের দি হুগলী কো অপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্ক লিমিটেডে পরিচালন সমিতির নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় দিন কুড়ি আগে। কিন্তু ণির্বাচনের আবহ তৈরী হতেই সরগরম ছিল ব্যাঙ্ক চত্ত্বর। শতাধিক বছরের পুরনো এই সমবায় ব্যাঙ্কে বামেদেরই আধিপত্য। বামেদের আমলেই বছর কয়েক আগে এই ব্যাঙ্কের মূলধন ১০০ কোটির গন্ডি পার করে। ২০১১ সালের পর রাজ্যের আর পাঁচ জায়গার মত হুগলীর রাজনীতি পরিবর্তন হলেও অপরিবর্তিত ছিল চকবাজার সমবায় ব্যাঙ্ক। পরিচালন সমিতি ছিল বামেদের হাতেই। কিন্তু চলতি বছর ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে চুঁচুড়ার রাজনীতি। একটি শ্রেনীর নজর পরে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির উপর।

শাসক দল সেবিষয়ে মুখ না খুললেও সেই নজর যে তৃণমূলের ছিল তা ব্যাঙ্কের ভোট সংক্রান্ত বিগত দিনের কয়েকটি ঘটনাতেই স্পষ্ট। গত মাসে এই ব্যাঙ্কে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়। মোট ৩৩টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই বাম মনোনীত প্রগতিশীল মনোনয়ন জমা দিলেও শাসক দলের পক্ষ থেকে ২৪টি আসনেই মনোনয়ন জমা পরে। যার মধ্যে স্ক্রুটিনির সময় একজনের নাম বাদ পরে। বাকি ২০জনই শেষদিনের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু ৩জন কোন কারনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। ব্যাঙ্কের একমাত্র চার নম্বর জোনে আজ হুগলী গার্লস স্কুলে সেই নির্বাচন হয়। সকাল থেকেই পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নির্বাচন চলে।

এদিনও চুঁচুড়ার বাম নেতাদের ভোটগ্রহন কেন্দ্রের কাছাকাছি সক্রিয় দেখা গেলেও কোন শাসক দলের নেতাকেই চোখে পরেনি। দুপুর তিনটেয় নির্বাচন শেষ হয়ে বিকেলের দিকেই ফলাফল বের হয়। সেখানে বিপুল ভোটে তিনটি আসনেই জয়ী হয় বাম মনোনীত প্রগতিশীল প্রার্থীরা। অর্থাৎ ৩৩টি আসনই প্রগতিশীল প্রার্থীদের দখলে। এরপরই বালি মোড়ে সিপিএমের বিজয় মোদক ভবনের সামনে লাল আবীর খেলায় মাতে বাম কর্মী-সমর্থকেরা। চুঁচুড়ার বাম নেতা সমীর মজুমদার বলেন মানুষের রায়ে সত্যের জয় হয়েছে। যদিও এদিনও এই ব্যাঙ্কের নির্বাচন নিয়ে চুঁচুড়ার কোন শাসক দলের নেতাই মুখ খুলতে চায়নি।