এই মুহূর্তে জেলা

মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় বাঙালি প্রেমিকের টানে লেসলি , কয়েকদিনের মধ্যেই বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে।


হাওড়া, ২১ জুন:- করোনাকালে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে গিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সেই টানেই সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় বাঙালি প্রেমিকের টানে ছুটে এসেছেন লেসলি। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁরা বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে। ভালোবাসার টানে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় ছুটে এলেন প্রেমিকা।কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন যুগল। হাওড়ার বালি দুর্গাপুর সাহেববাগান এলাকার বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্য।পেশায় বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। করোনার শুরুতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু করেন। কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়াই ছিল তখন একমাত্র ভরসা। এখান থেকেই আলাপ হয় মেক্সিকোর বাসিন্দা লেসলি ডেলগাডো’র সঙ্গে। এরপর দুজনেই পরষ্পরের প্রেমে পড়ে যান। গভীর হয় তাদের সম্পর্ক। দেখা করার জন্য মন আকুল বিকুল করতে থাকে।কিন্তু উপায় নেই।কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়ে সারা বিশ্বে।

তখনই বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট। এরপর এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে সোজা মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় আরিজিতের বাড়িতে কিছুদিন আগেই হাজির হয়েছেন লেসলি। অরিজিৎ জানান, কথাবার্তা বলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত ১৯ জুন তাদের রেজিস্ট্রি হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুজনে। অরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী। মা কাকলী ভট্টাচার্য গৃহবধূ।বিনায়কবাবু জানান, হবু বৌমা লেসলি অত্যন্ত ভালো মেয়ে। সবাইকে আপন করে নিয়েছে সে। ইংরেজি ও বাংলা শিখছে ভালোভাবে তাদের সাথে কথা বলার জন্য। অরিজিৎও স্প্যানিশ ভাষার পাঠ নিয়েছে লেসলির সাথে কথা বলার জন্য। অক্টোবর মাস পর্যন্ত হাওড়াতেই থাকবে দুজনে।এরপর মেক্সিকো যাবে তারা। সেখানেই সামাজিক অনুষ্ঠান হবে। তারপর ঠিক হবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। লেসলি জানায় বিয়ে নিয়ে সে প্রচন্ড এক্সাইটেড।তবে ভীষণ খুশি অরিজিৎকে সারাজীবনের জন্য কাছে পেয়ে।