কলকাতা, ১২ মে:- বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে আইএএস এবং অধিকারীদের ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে। কলকাতার টাউন হলে আজ ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকরা প্রশাসনের মুখ। রাজ্যের এই অফিসারদের সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চাকরিতে উন্নতির ব্যবস্থা করেছে। এজন্য যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং বিশেষ সচিব পদ আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। ২০১১ সালে যেখানে এই সব স্তরে ১৬৫ টি পদ ছিল, তা এখন বাড়িয়ে ৩৫০ করা হয়েছে। আগামী দিনে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের যাতে দফতরের সচিব করা হয়, সে দিকেও নজর রাখতে তিনি নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আইএস এবং ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের মধ্যে বিশেষ ভাতার ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। আইএএস-রা জেলাশাসক বা অতিরিক্ত জেলাশাসক হলে যে ভাতা পান, ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকরা ওই পদে তার চেয়ে অনেক কম ভাতা পান।
এখন থেকে সবাই সমান বিশেষ ভাতা পাবেন। কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। বেতন ঊর্ধ্বসীমায় পৌঁছনোর পর চাকরির শেষ লগ্নে এসে অনেকের বেতন বৃদ্ধি আটকে যায়। এই সব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডব্লিউবিসিএস আমলাদের মাসে দশ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথাও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। করোনা কালে যেভাবে এই আধিকারিকেরা যেভাবে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন সেকথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান। এসময় যে সমস্ত আমলা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি শোক জ্ঞাপন করেন। করোনা অতিমারী সহ বিভিন্ন কারণে ২০১৬ সালের পর এই প্রথম ডব্লিউবিসিএস সংগঠনের এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হলো। অনুষ্ঠানে রাজ্যের পুরো ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা সহ বিভিন্ন দফতরের সচিব এবং জেলা থেকে সর্বস্তরের ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।