পূর্ব বর্ধমান, ২১ এপ্রিল:- এম এ পাশ করেও কোনো কাজের সন্ধান না পেয়ে চায়ের দোকান খুলেতে বাধ্য হয়েছেন মন্তেশ্বরের দেনুর পঞ্চায়েতের পাতুন গ্রামের বছর আঠাশের যুবক হেমন্ত মল্লিক। মন্তেশ্বর- পুটশুড়ী রাস্তায় পাতুন পাঁচমাথা মোড়ে একটা ছোটোখাটো গুমটিতেই হেমন্তের চায়ের দোকান। সেখানেই ভোর পাঁচটা থেকে রাত্রি প্রায় নটা পর্যন্ত দোকান সামলাচ্ছেন। কাজে তাকে মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করেন বাবা শীতল মল্লিক। পাতুন গ্রামে রয়েছে মাটির বাড়ি হেমন্তদের। রয়েছে একটি চালা ঘর। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী ও দেড় বছরের কন্যা। রয়েছে ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীও। হেমন্ত জানায় ২০০৯ সালে মাধ্যমিক পাশ করে চন্দ্রপুর কলেজ থেকে বাংলা অনার্স এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এম এ করে
মাঝে বড়শুলের কলা নবগ্রামের সতীশ চন্দ্র কলেজ থেকে আইটিআই। কম্পিউটারেও বেসিক কোর্স করা রয়েছে তার। তিনি বলেন প্রথম থেকেই টিউশন পড়াতাম। বছর তিনেক আগে বিয়ে হওয়ার পর সংসারের খরচ বাড়ে। সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক টিউশন কমতে থাকে। সেলামি দিয়ে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করার মত বড় পুঁজিও নেই। সে কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই চায়ের দোকান খুলে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছি। ছোট ভাই অমিত একটা গোডাউনের দেখাশোনার কাজ করে। হেমন্তর বাবা শীতল মল্লিক বলেন, পরের বাড়ীতে দিনমজুর খেটে বহু কষ্ট করে ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করলাম। কিন্তু চায়ের দোকান চালিয়ে তাকে সংসার চালাতে হচ্ছে এটা দেখতে খুবই কষ্ট লাগে।