এই মুহূর্তে কলকাতা

বিধানসভায় রাজ্যপাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে অভিযোগ ভোলায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।


কলকাতা, ১৪ এপ্রিল:- রাজ্য বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল ফের একবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতীর অভিযোগ তোলায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিধানসভায় আজ আম্বেদকর জয়ন্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিধানসভার অধ্যক্ষ্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতেই এরাজ্য গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে উঠেছে বলে কঠিন সমালোচনা করেন। স্পিকারের আপত্তি উপেক্ষা করেই তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। আম্বেদকর মূর্তিতে মালা দিয়ে রাজ্যপাল অভিয়োগ করেন, রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।পুড়িয়ে মারাও হচ্ছে আবার চাকরিও দেওয়া হচ্ছে। অথচ সাম্প্র্তিক বিভিন্ন বিষয়ে সরাকরের কাছে রিপোর্ট চেয়েও তিনি পাননি।

এরাজ্য়ে কিছু মানুষ আইনের উর্ধ্বে কিনা তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি গতকাল হাই কোর্টে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের মানুষ ভয় নিয়ে বেঁচে আছেন। শাসন ব্যবস্থার সবসময় একটা নির্দিষ্ট দিকে চলা উচিত। বক্তব্য শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকরা রাজ্যপালকে একাধিক প্রশ্ন করেন।তিনি সেসব প্রশ্নের উত্তরও দেন। বিধানসভা সাংবাদিক বৈঠক করার জায়গা নয় বলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাপাধ্যায় আপত্তি জানালেও রাজ্যপাল তাতে কর্ণপাত করেননি।উল্টে সকলকে সাংবিধানিক দ্বায়িত্ব পালন করার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। পরে রাজ্যপাল বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর

অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এদিনের আচরণ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব গণ্ডি রয়েছে।সকলেরই সেই গণ্ডির ভিতর থেকে কাজ করা উচিত। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বক্তব্য ঠিক নয় বলেও তিনি দাবি করেন। সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, সাংবিধানিক প্রধান হয়েও সংবিধানকে কলঙ্কিত করছেন রাজ্যপাল। দলদাসে পরিণত হয়েছেন তিনি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য এ বিষয়ে তৃণমূলকে পালটা তোপ দেগেছেন। তাঁর কটাক্ষ, “পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে সরকারি আমলা সকলেই ধারাবাহিকভাবে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন।”