এই মুহূর্তে জেলা

স্ত্রীকে পাগল প্রতিপন্ন করার নামে আদালতে মামলা ঠুকে হোমে পাঠানোর তোরজোর করেছিল স্বামী।


হুগলি , ১৫ মার্চ:- আদালতের নির্দেশে পুলিশ বধূকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষাও করায়। তাতেই স্বামীর ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা দু’দফায় বধূর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে সুস্থ বলে সার্টিফিকেট দিতেই স্বামীর মামলা কে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন স্ত্রী। মঙ্গলবার শ্রীরামপুর আদালত স্বামীর আবেদন নাকচ করে দিয়ে পালটা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। গোটা ঘটনা কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আদালত সূত্রে খবর কুড়ি বছর আগে রিষড়া পঞ্চায়েত এলাকার এক মহিলার সঙ্গে উত্তরপাড়া থানার হিন্দমোটরের এক ব্যবসায়ীর বিয়ে হয়।তাদের একটি ছেলেও আছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বধূর উপর মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।

শুধু তাই নয় মানসিক অসুস্থতার তকমা দিয়ে জোড় করে ওষুধ ও খাওয়ানো হয়। গত বছর পুজোর সময় বধূ অতিষ্ঠ হয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে। এবং আদালতে ডিভোর্সের মামলা রজু করে স্বামীর কাছে ভরনপোষণ দাবি করে। তাতে স্বামী আদালতের বাইরে বিরোধের মীমাংসা করে বধূকে ফের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুদিন পর আবার অত্যাচার করলে বধূ বাপের বাড়ি ফিরে এসে প্রতিবেশী তথা শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ব্লকের মহিলা তৃণমূলের সভাপতি কেতকী দত্ত কে সব খুলে বলেন। পুলিশ যখন বধূকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ ও কলকাতায় পাভলভের চিকিৎসককে দেখানো হয় তখন কেতকী ও বধূর সঙ্গে ছিল। ডাক্তারী ফিট সার্টিফিকেট হাতে পেয়েই কেতকী বধূর পাশে দাঁড়ান। কেতকী বলেন, একজন সুস্থ মানুষ কে যে ভাবে তার স্বামী পাগল প্রতিপন্ন করে নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই। বধূর আইনজীবী সমীরণ বসু বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত নিদর্শন। একজন স্ত্রী তথা একজন মা যিনি সুস্থ তাকে পাগল বলে হোমে রাখার যে ঘৃন্য চক্রান্ত স্বামী করেছে সেটা আদালতের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আদালতের বিচারক ঘটনা ও অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে স্বামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।