এই মুহূর্তে জেলা

নেতাজীর পদধুলি ধন্য বেঙ্গাই চৌমাথাকে সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ প্রাক্তন বিধায়কের।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১৫ মার্চ:- হুগলি জেলার গোঘাটের বেঙ্গাই সুভাষ নগর মোড় একটা ঐতিহ্য মন্ডিত, গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জায়গা। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পদধূলি ধন্য এই জায়গাকে ঢেলে সাজাতে এবং বাঁকুড়ার কোতুলপুরের নেতাজী মোড়ের আদলে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিলেন গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এসবিএসটিসির বোর্ড অফ ডাইরেক্টর হিসাবে রাজ্যের পূর্ত ও আইন দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটককে এই বিষয়ে চিঠি লিখে অনুরোধ জানান। জানা গেছে, ২০২০ সালে বেঙ্গাই চৌমাথা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বেদকরের মুর্তি উন্মোচন করে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তাই মন্ত্রীর উদ্বোধন করা এই জনবহুল জায়গাটিকে নতুন ভাবে সৌন্দর্যায়ন করার উদ্যোগ নেন মানসবাবু। বেঙ্গাই চৌমাথাটির চারদিকে রাস্তা চলে যাওয়ায় সৌন্দর্যায়ন করতে কোনও অসুবিধা হবে না। এতে করে এলাকার মানুষের যেমন ব্যাপক সুবিধা হবে তেমননি স্থানীয় ব্যবসাদারদেরও সুবিধা হবে।

মানসবাবুর দাবী এই মোড়টিকে বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ের আদলে গড়ে তোলা হোক। পাশাপাশি বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বেদকরের মুর্তিটিকে হাইমাস লাইট দিয়ে আলোকিত করা এবং যাত্রীদের জন্য যাত্রীসেড তৈরি করা হোক।তাছাড়া বেঙ্গাই সুভাষ নগর মোড়ে নেতাজীর মুর্তি বসানোর জন্যও তিনি আবেদন করেন মন্ত্রীর দপ্তরে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বুদ্ধিজীবি মানুষ জানান, গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার সব সময়ই গঠন মুলক কাজ করেন। বিধায়ক থাকাকালীন বহু উন্নয়ন মুলক কাজ হয়েছে। বেঙ্গাই সুভাষ নগর মোড়কে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। এই রখম ঐতিহাসিক জায়গাকে মানুষের সামনে মডেল হিসাবে গড়ে তোলা হোক। মানসবাবু এখনও গোঘাটের মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন।কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ওনাকে বিধায়ক হিসাবে পেলাম না। আশা করি ওনার এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে। অপরদিকে এই বিষয়ে গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার জানান,গোঘাটের বেঙ্গাই সুভাষ নগর মোড়কে বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ের আদলে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন করেছি। আশা করি মঞ্জুর হবে।তাহলে ঐতিহাসিক সুভাষ নগর মোড়ের ঐতিহ্য মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারবো। সবমিলিয়ে এখন দেখার মানসবাবুর এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয় কিনা।