এই মুহূর্তে কলকাতা

কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিপুল বিনিয়োগ টানতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা বাজেটে।

কলকাতা, ১১ মার্চ:- রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান পাখির চোখ রাজ্য সরকারের। সেই লক্ষ্যে শিল্পক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ টানতে রাজ্য বাজেটে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কোভিডের সংকট পর করে আসন্ন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন কে সামনে রেখে রাজ্যে শিল্পায়নের নতুন দিগন্তের সন্ধানে নামছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার তাঁর বাজেট ভাষণে রাজ্যের নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন অতিমারীর প্রকোপ সত্ত্বেও ২০২১-এর ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৯৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। আরও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে শিল্প স্থাপনের জন্য। বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে, ৮৮৬ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের জন্য। সেখানে বিনিয়োগ করা হচ্ছে ৮১৭২ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে প্রায় ১২ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে জানানো হয়েছে। অঙ্কুরহাটি জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি পার্ক, সাঁকরাইলের ফুড পার্ক, নৈহাটির শিল্প উদ্যান, বজবজ গার্মেন্ট পার্কের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৪৮৩ একর জমিকে জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরীর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিয়ার করিডোরের জন্য ৭৯৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। দেউচা পাঁচামিতে প্রস্তাবিত খনি প্রকল্পের এক লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।শ্যাম স্টিল ওয়ার্কসের জন্য ৬০০ একর জমি বরাদ্দ করা হচ্ছে। সেখানে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের পাশাপাশি ৫০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বজবজ গার্মেন্ট পার্ক, হরিণঘাটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, হলদিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পনগরীতে মোট ৪৪ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। মমতার সরকারের পক্ষ থকে বাজেট বক্তৃতায় জানানো হয়েছে, মিলন মেলার জমিতে প্রদর্শনী কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।তাজপুর বন্দর প্রকল্পের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের দাদনপাত্রবারে ১০০০ একরের বেশি জমি পাওয়া গিয়েছে।

এছাড়া ঘোষণা করা হয়েছে শিল্পসাথী প্রকল্পের অধীনে একজানালা জরুরি পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পরিষেবার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে শিল্পসাথী প্রকল্পে স্কচ পুরস্কার লাভ করেছে রাজ্য। এছাড়া কয়লা খনি ও বালি উত্তোলনেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। স্যান্ড মাইনিং পলিসি সফলভাবে রূপায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজ্যে ইথানল উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে রাজ্যে ইথানল উৎপাদনে ১৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে। কলকাতায় গ্যাস সরবরাহ করার জন্য বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড গঠন করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে শিল্প ও শিল্প সংস্থার পুনর্গঠনেও জোর দেওয়া হয়েছে। রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বাঁচানোর প্রয়াসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া হবে। সরস্বতী প্রেসকে বাঁচাতে বেশ কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এর সহযোগী কোম্পানি ওয়েস্ট বেঙ্গল টেক্সট বুক কর্পোরেশন লিমিটেড নিয়েও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।