কলকাতা, ১০ মার্চ:- রাজ্যপালের ভাষণের সময় অসংসদীয় আচরণ করার অভিযোগ তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনল শাসক দল।গত সোমবারের ওই ঘটনার জন্য শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সুদীপ মুখোপাধ্যায়,মিহির গোস্বামীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব বিধানসভায় জমা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন মন্ত্রী সহ মহিলা সদস্যরা। ওই দুই বিজেপি বিধায়ককে অবশ্যই ইতিমধ্যেই চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়কদের অভিযোগ বিরোধী বিজেপি সেদিন শুধুমাত্র বিধানসভার মর্যাদাহানি করেছে তাই নয় সরকারপক্ষের মহিলা সদস্যদের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শিউলি সাহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাবিনা ইয়াসমিন, শশি পাঁজা, অসীমা পাত্র যৌথভাবে ওই স্বাধিকার প্রস্তাব এনেছেন। রাজ্য বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের সময় বিজেপির বিধায়কেরা ব্যাপক হইহট্টোগোল করেন। শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি চিৎকার চেঁচামেচি করে তাঁরা রাজ্যপালকে বাধা দেন তাঁর ভাষণ পড়তে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের মহিলা বিধায়ক ও মন্ত্রীদের লক্ষ্য করে আক্রমণও শানেন তাঁরা। সেই ঘটনার জেরে তৃণমূলের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন বা স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনছেন।
পরে সেই প্রস্তাবে মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের নামও জুড়ে দেওয়া হয়। বিজেপির এই ৩ বিধায়কদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ রাজ্যপালকে তার ভাষণ পড়তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদের হেনস্থা করা। এদিন বিজেপির ধর্ণায় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দুও। তাঁদের দাবি, মিহির ও সুদীপের সাসপেনশান প্রত্যাহার করতে হবে। বিজেপি অবশ্য এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,বলেন, “সাসপেনশন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বিধানসভা চলাকালীন সময়ে ধরনা চলবে। আমাদের দুই বিধায়ককে অকারণ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ওনারা বিচার চান। ওনারা নিরাপরাধ।”