এই মুহূর্তে জেলা

গঙ্গা দূষন ও মানসিক অবসাদ রোধের বার্তা দিতে হিমালয় থেকে পায়ে হেঁটে চন্দননগরে অতুল!

হুগলি, ৯ মার্চ:- নিজের জন্য বাঁচো এবং গঙ্গাকে বাঁচাও। এই উদ্দেশ্য নিয়েই গঙ্গার উৎপত্তিস্থল হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে দীর্ঘ চার হাজার কিমি পথ পারি দেওয়া শুরু করেছেন মহারাষ্ট্রের যুবক তথা কম্পিউটার শিক্ষক অতুল কুমার চৌকসি। এর আগে অতুল সাহারা মরুভূমিতে পায়ে হেঁটে ভারতের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছেন। মঙ্গলবার হুগলীর চন্দননগরে এসে পৌঁছন অতুল। অতুলের ঠেলা গাড়িতে খাদ্য সামগ্রী, জামা-কাপর, বিশ্রামের তাঁবু, সাপে কামড়ের ভ্যাকসিন রয়েছে। যার ওজন প্রায় ৮০ কেজি। চড়াই-উৎরাই পথে সেই ঠেলা গাড়ি ঠেলতে ঠেলতেই ফরাক্কা হয়ে বাংলার সমতলে প্রবেশ করে অতুল।

বাংলার গঙ্গাসাগরেই তাঁর চার হাজার কিমির যাত্রা শেষ হবে। রাতে নিজেই রাস্তার পাশে তাঁবু খাটিয়ে বিশ্রাম নেন তিনি। চন্দননগরে প্রবেশ করে গুগল ম্যাপের সৌজন্যে নীচু পট্টির রামকৃষ্ণ আশ্রমে প্রবেশ করেন তিনি। আশ্রম কর্তৃপক্ষ অতুলের উদ্দেশ্য জেনে তাঁর বিশ্রাম ও খাওয়ার ব্যাবস্থা করেন। বুধবার ভোরে আবারও চন্দননগর স্ট্র্যান্ড হয়ে জিটি রোড ধরে গঙ্গা সাগরের দিকে রওনা দেন তিনি। যাওয়ার আগে অতুল জানায় গঙ্গাকে দূষন মুক্ত করা এবং মানসিক অবসাদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা আমার উদ্দেশ্য। আমি গঙ্গাপার বরাবর যাত্রায় সাধারন মানুষকে গঙ্গা দূষন মুক্ত রাখার বার্তা দিয়েছি। পাশাপাশি সাধারন মানুষকে জীবনের মূল্য বুঝিয়েছি। যাতে কোন কারনে মানসিক অবসাদে ভূগে কেউ আত্ম হননের পথ বেঁচে না নেয়। অতুলকে একদিনের জন্য আশ্রয় দিতে পেরে খুশি চন্দননগরের আশ্রম কর্তৃপক্ষ। আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সমাধাননন্দপুরী অতুলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।