এই মুহূর্তে জেলা

রীতি মেনে রামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথি পালিত হল কামারপুকুর মঠে।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ৪ মার্চ:- রীতি মেনে ঠাকুর শ্রী শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথি পালিত হলো হুগলি জেলার কামারপুকুর মঠ ও মিশনে। করোনার কোপ অনেকটাই কমেছে। তাই কামারপুকুর মঠ ও মিশনে এদিন জন্মতিথি উৎসব উপলক্ষ্যে ব্যাপক ভির পুর্নার্থীদের। এদিন ঠাকুরের ১৮৭ তম জন্মতিথি। শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথির অনুষ্ঠানে সেজে ওঠে কামারপুকুর মঠ ও মিশন। ভোর থেকেই শুরু হয় পুজো পাঠ, আরতি। এদিন করোনা বিধিনিষেধ মেনেই ভক্তদের মঠে ঢুকতে দেওয়া হয়। দিন মঠে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে। ভোর ৪:৩০ এ মঙ্গলারতি হয়। এরপর ভোর ৪.৪০ মিনিটে শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরের নাটমন্দিরে সন্ন্যাসীরা বেদপাঠ, স্তবগান ও উষাকীর্তনের মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের আরাধনা শুরু করেন।

তারপর থেকে নিদিষ্ট সময় অনুযায়ী বিশেষ পুজোপাঠের মাধ্যমে সারা দিনব্যাপী ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের আরাধনা চলে। করোনাবিধি অনুযায়ী সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে ১১.০০ টা পযন্ত এবং বৈকাল ৩.৩০ মিনিট থেকে ৫.৩০ মিনিট পযন্ত পুর্নার্থীদের জন্য মঠের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজ স্বামী লোকোত্তরা নন্দ জানান, তিন দিন ব্যাপি উৎসব চলবে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও রীতি মেনে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথি পালিত হচ্ছে। তবে করোনার জন্য পদযাত্রা হয়নি। মঠের ভিতরে প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে। অপরদিকে কামারপুকুর মঠে আসা এক গৃহবধু বলেন, সন্তান ও সংসারের কল্যান কামনায় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথি তে মঠে এসেছি।খুবই ভালো লাগছে।